ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন
ঢাকা-ভোলা নৌরুটে যাত্রীবাহী এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে এই রুটের চাঁদপুর জেলার হাইমচরের মাঝিরচর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় লঞ্চটির ইঞ্জিন রুম পুড়ে গেলেও কারো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের মাস্টার রইচ উদ্দিন সুমন জানান, "বেলা সাড়ে ৮টার দিকে ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে আসি। বেলা সোয়া ১১টার দিকে ইঞ্জিন রুমে বিকট শব্দে আগুন লেগে যায়। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে লঞ্চটিকে আমরা দ্রুত মাঝেরচরে থামিয়ে দেই। যাত্রীরা সকলেই নিরাপদে নদীতে নেমে গেছেন। তবে আতঙ্কে কয়েকজন নদীতে ঝাপ দিয়ে আহত হয়েছেন।"
ভোলা তজুমদ্দিনের বাসিন্দা আঁখি রাণী দাস বলেন, "আমরা লঞ্চের সামনের দিকে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে লঞ্চটি কেপে ওঠে। যেন বিস্ফোরণ হয়েছে। এরপরই ইঞ্জিন রুম থেকে প্রচণ্ড ধোয়া বের হতে থাকে। এরপরও লঞ্চটি চলছিল। যাত্রীরা সকলে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকায় লঞ্চটি পরে তীরের দিকে নিয়ে আসা হয়। তীরের কাছাকাছি আসলে আমরা ঝাঁপ দেই। এতে আমার পায়ে আঘাত পেয়েছি।"
বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জের বাসিন্দা নূরে আলম আকন বলেন, "লঞ্চে যেভাবে অগুন ছড়িয়ে যাচ্ছিল তাতে ঝাঁপ না দিলে উপায় ছিল না। ঝালকাঠির অভিযান-১০ লঞ্চের মত আরেকটি ট্রাজেডি হতে পারতো।"
মাসুম নামে আরেক যাত্রী বলেন, "আগুন কীভাবে লেগেছে তা জানি না। হঠাৎ দেখি লঞ্চের পিছনে প্রচণ্ড ধোয়া। সেই ধোয়া লঞ্চের মধ্যেও ঢুকে পড়ছে। তখন ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছি।"
কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের মাস্টার মোবারক হোসেন বলেন, "কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুনের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সেখানে যাই এবং ওই লঞ্চের যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চে তুলে নেই।"
এ ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপ-পরিচালক বশির আলী খান জানান, লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে স্পার্ক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
"অনেক যাত্রী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। কর্ণফুলী-৩ এর যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের মাধ্যমে ফেরত আনা হচ্ছে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে," যোগ করেন তিনি।