বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম: সিইসি
বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম হওয়ার কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সিইসি বলেন, 'বর্ষার কারণে অনেকে ভোট সেন্টারে আসতে পারেননি। এছাড়া এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। এ কারণেও ভোট কম পড়েছে।'
ভোটার টার্নআউট সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময় (বিকাল ৪ টা) পর্যন্ত ৩০-৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ভোট সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। তেমন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।'
দেশের ৫৯টি জেলার ১৩৯টি উপজেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়।
প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এরপর নানান কারণে যেমন: স্থগিত হওয়া, ধাপ পরিবর্তন ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার কারণে ১৩টি উপজেলা বাদ পড়েছে। ফলে আজ প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে।
এতে মোট ১৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন।
এই ধাপে ৫ উপজেলায় সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান ৮ জন ও ১০ জন ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রয়েছেন ১০ জন।
১৩৯টির মধ্যে ২২টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
ভোটগ্রহণের সময় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য এবং ৪১৮ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়।