পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, স্কোয়াড্রন লিডারের মৃত্যু
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় একজন স্কোয়াড্রন লিডার মৃত্যুবরণ করেছেন। বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে (বিএনএস ঈসা খাঁ) চিকিৎসারত অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড় ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত স্কোয়াড্রন লিডারের নাম আসিম জাওয়াদ।
জানা যায়, বিমানে আসিম জাওয়াদ ছাড়াও আরেকজন পাইলট ছিলেন। অপর উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান বর্তমানে আহতাবস্থায় জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়ার্ডনে (এসকিউএন)- চিকিৎসাধীন।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীরুল ইসলাম জানান, প্রশিক্ষণ বিমানে আগুন লাগার পর দুজন বৈমানিক প্যারাস্যুট দিয়ে নেমে আসেন। এ সময় কর্ণফুলী নদী থেকে তাঁদের উদ্ধার করে বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদের মৃত্যু হয়। আহত উইং কমান্ডার সুহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়ার্ডনে চিকিৎসাধীন।
সিএমপি বন্দর জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর ডিসি শাকিলা সোলতানা জানিয়েছেন, 'বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসিম জাওয়াদ নামে একজনের মৃত্যু হয়। আহত আরেক পাইলটকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মৃত স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতসহ আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবাররের প্রতি সমবেদনা জানান।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিমান বাহিনী প্রধানের নির্দেশক্রমে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় পতিত বিমানটিকে উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আজ সকাল ১০টা ২০ মিনিটের সময় চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানার জহুরুল হক ঘাঁটির বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান (ইয়াক-১৩০, রাশিয়ান) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়। চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের নিকটে ১১ নং ঘাটের নতুন পতেঙ্গা টার্মিনালের অপর পাশে কর্ণফুলী থানার এইচএম স্টিল মিল প্রান্তে কর্নফুলী নদীতে তলিয়ে যায়।
জহুরুল হক ঘাঁটির বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ওই প্রশিক্ষণ বিমান (ইয়াক-১৩০, রাশিয়ান) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়।