ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার শঙ্কা নিয়েই ভোট শুরু, ভোটার উপস্থিতি কম
সহিংসতার শঙ্কার মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে দুই উপজেলার ১২৯টি ভোটকেন্দ্রে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে প্রায় সবকটি কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি কম। সকাল ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই উপজেলার কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে, দুই উপজেলার ১২৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৬টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা পুলিশ। এসব কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাবের টহলও থাকবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগই কসবা উপজেলার। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দুই ঘনিষ্ঠজন। তাদের একজন মন্ত্রীর ফুফাতো ভাই সাইদুর রহমান স্বপন এবং অপরজন সাবেক এপিএস রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন।
মূলত, কসবা উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভোটের আগেরদিন সোমবার (২০ মে) ভোরে কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী জীবনের নির্বাচনী এজেন্ট এমদাদুল হক পলাশকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ভোটের পরিবেশ। এজেন্টকে কোপানোর ঘটনায় গতকাল কসবা থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, "যেসব কেন্দ্রে সহিংসতার আশঙ্কা আছে- সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটাররা যেন নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন- সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ১ হাজার ২৯ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।"
উল্লেখ্য, দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিন্দ্বিতা করছেন। আর মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯ হাজার ২৩৬ জন।