'প্রত্যয়' পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের
নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য সম্প্রতি চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম 'প্রত্যয়' বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তাদের দাবি, নতুন এই স্কিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করবে।
সোমবার (২০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অবিলম্বে 'সুপার গ্রেড' চালুর দাবিও জানান। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য 'সুপার গ্রেড' চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, "প্রত্যয় প্রকল্পটি পুরানো এবং নতুন কর্মীদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করবে। এটি চালু থাকলে, সহকর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।"
এর আগে, গত ২০ মার্চ স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্টায়ত্ত এবং সংবিধিবদ্ধসহ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোতে 'প্রত্যয়' স্কিম চালু করে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগামী ১ জুলাই, ২০২৪ তারিখ থেকে এইসব প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারীরা প্রত্যয় স্কিমের সুবিধাভোগী হবেন।
জিনাত হুদা বলেন, "বর্তমান শিক্ষকরা বিদ্যমান পেনশন স্কিম নিয়েই সন্তুষ্ট আছেন। কেন এই নতুন স্কিম চালু করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।"
তিনি মনে করেন, এটি ভবিষ্যতে শিক্ষকতা পেশায় যোগদানকারী মেধাবী শিক্ষকদেরকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
তার মতে, নতুন পেনশন প্রকল্পের ফলে গবেষণার কাজ পিছিয়ে যাবে। এছাড়া, প্রত্যয় স্কিমের আওতায় অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা ৬০ বছর, যেখানে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর জন্য বর্তমান পেনশন স্কিমে অবসরের বয়স ৬৫ বছর।
সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূইয়া জানান— তারা এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তারা কেউই নতুন পেনশন প্রকল্প বাতিলের আহ্বানে সাড়া দেননি।
আগামী ২৫ মে'র মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেলে ২৮ মে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুই ঘণ্টার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেন ফেডারেশনের নেতারা।
আগামী ৪ জুন তারা অর্ধদিবস হরতাল পালন করবেন। তবে নির্ধারিত পরীক্ষা এসব আন্দোলনের বাইরে থাকবে বলে জানান তারা।
শিক্ষক সমিতির নেতারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেওয়া অষ্টম সরকারি পে-স্কেলের অধীনে 'সুপার গ্রেড' চালুর প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি।