এনএসআই’র এজেন্ট সেজে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: অভিযুক্ত মমতাজ গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (এনএসআই) রিক্রুটিং এজেন্ট পরিচয় দিয়ে দুই কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে মমতাজ বেগম ওয়ারাশিকা নামক এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড 'এনএসআই এজেন্ট সেজে গ্রামের যুবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিল ২ কোটি টাকা!' শিরোনামে অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর র্যাব-৭ এর একটি দল তাকে আটকে অভিযান চালায়।
পরে বুধবার (২২ মে) রাতে মমতাজকে সীতাকুণ্ডের প্রেমতলা এলাকা থেকে এবং তার স্বামী মুজিবুর রহমানকে উপজেলার বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোলায়মান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, র্যাব-৭ সদস্য ডিএডি মোহাম্মদ মাসুদ এবং একজন ভুক্তভোগী মঞ্জুর আলমের দায়ের করা দুই মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
'আনোয়ার শাহাদাত (৩৪) নামক অপর আসামি পলাতক রয়েছে,' বলেন তিনি।
অভিযানে মমতাজ বেগমের কাছ থেকে ৯৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে মমতাজ ও তার স্বামী মুজিবুর রহমানকে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করেন র্যাব-৭ কর্মকর্তারা।
ইন্সপেক্টর সোলায়মান আরও বলেন, 'জালিয়াতির [প্রথম] মামলায় মমতাজ, তার স্বামী মুজিবুর রহমান ও আনোয়ার শাহাদাতসহ তিনজনকেই আসামি করা হয়েছে।'
'মাদকদ্রব্য বিষয়ে দায়ের করা [দ্বিতীয়] মামলায় মমতাজ একমাত্র আসামি,' বলেন তিনি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, এনএসআই-এর ওয়াচার ও ফিল্ড অফিসার পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মমতাজ মঞ্জুর আলমের কাছ থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা, মোহাম্মদ একরামের কাছ থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা, নয়নের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা এবং সাদিকুল আলমের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নেন।
মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে এনএসআই-এর অপরাধ তদন্ত বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বেশ ধরার অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে তার স্বামী মুজিবুর রহমান এবং আনোয়ার শাহাদাতকে প্রতারণামূলক কাজে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।