সিলেটে আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান
সিলেটের আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। খনন কাজ শেষে সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ৮ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়ার কথা জানায় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। এ নিয়ে গত সাত মাসে সিলেটের চারটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলল।
এসজিএফএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, গত বছরের জানুয়ারি থেকে কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপে খনন কাজ শুরু করে বাপেক্স। কূপের তিন হাজার ৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাস পাওয়া গেছে। এখন দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ উত্তোলন শুরুর আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এসজিএফএল সূত্রে জানা যায়, সিলেটে গত বছর থেকেই কূপ অনুসন্ধান ও খননের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে গত বছররে প্রথম দিকে কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে খনন কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড়শ কোটি টাকা খরচে এই কূপ খনন করা হয়।
জানা যায়, সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে সেই উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা সংশ্লষ্টিদের। আর ২০২৫ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারলে শুধু এই কোম্পানি থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট গ্যাসফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।
তারও আগে গত বছররে নভেম্বরে হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মেলে। খনন কাজ শেষে ওইদিন গ্যাস প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত এসজিএফএল।
গত বছরের জুনে এই কূপ খনন কাজ শুরু হয়। ১৪৯ কোটি টাকায় সিলেট-১০ নম্বর কূপ খনন করে চীনা কোম্পানি সিনোপেক। কূপটিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে এসজিএফএল-এর আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। সেগুলো হলো- হরিপুর গ্যাসফিল্ড, রশীদপুর গ্যাসফিল্ড, ছাতক গ্যাসফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাসফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।