ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল': চট্টগ্রাম বন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ, অ্যালার্ট-৪ জারি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৯ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঘোষণা করা হয়েছে বন্দরের নিজস্ব সতর্কতা 'অ্যালার্ট-৪'।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব ওমর ফারুক রোববার (২৬ মে) সকালে টিবিএসকে বলেন, "অ্যালার্ট-৪ জারি হলে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বন্দরের জেটিতে ১৭টি জাহাজ ছিল, রোববার সকাল থেকে জোয়ারের সময় সেগুলো গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।"
এছাড়া বন্দরের বহিনোঙ্গরে যেসব জাহাজ ছিল, সেগুলোকে শনিবার রাতে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য মতে, বন্দরে যে সকল যন্ত্রপাতি রয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সেগুলোর সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে তিনটি কন্ট্রোল রুম। বন্দর ইয়ার্ডে ডেলিভারি কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, আজ সকাল ১১ টায় জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের ভিত্তিতে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা 'অ্যালার্ট-১' জারি করে। ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর 'অ্যালার্ট-২' জারি করে। এছাড়া বিপৎসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য 'অ্যালার্ট-৩' জারি করা হয়। মহাবিপৎসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা 'অ্যালার্ট-৪' জারি করা হয়। তখন বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।