ঘূর্ণিঝড় রিমালের অগ্রভাগ ঢুকে পড়েছে সাতক্ষীরায়, উত্তাল নদী
ঘূর্ণিঝড় রিমালের অগ্রভাগ ঢুকে পড়েছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে। এর প্রভাবে সকাল থেকে উপকূলে থেমে থেমে হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত চলছে। সেইসঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। উত্তাল হয়ে উঠেছে উপকূলের খোলপেটুয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদ।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের অগ্রভাগ সকাল থেকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে ঢুকেছে। বর্তমানে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তিনি বলেন, এ সময় উপকূলীয় নদীতে ৮-১২ ফিট উচ্চতার জ্বলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হতে পারে ভারী বৃষ্টি। ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৯০-১২০ কিলোমিটার।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক, সিপিবি, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলাজুড়ে প্রস্তুত করা হয়েছে ৮৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ও দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো পর্যন্ত কাউকে যেতে দেখা যায়নি। তবে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে মানুষরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন জানান, ৩৮০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে তিন কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে বাঁধের কয়েকটি পয়েন্ট মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া যদি বাঁধের ভাঙন দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্য জিও ব্যাগ মজুত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর থেকে প্রচার-প্রচারণা লক্ষ করা গেছে। আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন উপকূলের কৃষি ও চিংড়ি, কাঁকড়া চাষিরা। বাঁধ ভেঙে বা বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশের আশঙ্কা করছেন তারা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।