ঘূর্ণিঝড় রিমাল: রাত ঘনাচ্ছে, সেইসঙ্গে বাড়ছে উপকূলবাসী ও জেলেপল্লীর আতঙ্ক-দুশ্চিন্তা
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরছে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলবাসী। রবিবার সকাল থেকে উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি রেখেছে আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দুপুর থেকে দমকা বাতাস এবং থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। রাত যতই ঘনিয়ে আসছে, সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলে বসবাসকারী এবং জেলে পল্লীর মানুষের মনে ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্ক ছড়িয়ে পরছে। তাদের রাত কাটছে আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তায়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি দুপুর থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমালে রূপ নিয়ে তান্ডব শুরু করেছে। এটি মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করে আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করছে। রবিবার রাতে ঝড়টি সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ধংসযজ্ঞ চালাতে পারে।
এছাড়া আরও জানায়, রবিবার সকাল সাড় ৮টায় জারি করা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এখনও অব্যাহত রয়েছে। বন্দরের সম্পদ রক্ষার্থে শনিবার রাত থেকে বন্দরের নিজেস্ব এলার্ট-৩ জারি রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারলে মোংলা বন্দরে অবস্থান করা সব বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠা-নামাসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
নিরাপদ নোঙ্গরে রয়েছে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় থাকা ছয়টি বাণিজ্যিক জাহাজ। এছাড়া, চ্যানেল থাকা লাইটার ও কার্গো জাহাজকে নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্দর এলাকা থেকে সহাস্রাধিক নৌযানকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন, 'রবিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানতে পারে। সেজন্য উপকূলীয় এলাকার মানুষের জানমাল রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'