মে মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি–রপ্তানি কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে
২০২৪ সালের এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানি ও আমদানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে রপ্তানির ক্ষেত্রে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ২৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং আমদানিতে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে।
আর ২০২৩ সালের মে মাসের তুলনায় এ বছরের মে মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিং রপ্তানিতে ২২ শতাংশ এবং আমদানিতে ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর ২০২৪ সালের মে মাসে ৬৪ হাজার ৫২৩ টিইইউ (বিশ ফুট সমতুল্য ইউনিট) রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার এবং এক লাখ ৩০ হাজার টিইইউ আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডেল করেছে। বছরের এপ্রিলে রপ্তানি ও আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪৮ হাজার ৭৩৭ টিইইউ এবং এক লাখ ১৭ হাজার টিইইউ।
ব্যবসায়ী ও বন্দর সংশ্লিষ্টার জানান, ডলারের সংকট ক্রমশ কমে আসছে। ফলে গত বছরের তুলনায় আমদানি-রপ্তানির হার কিছুটা বেড়েছে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) পরিচালক মোহাম্মদ শামসুল আজম টিবিএসকে বলেন, 'আসন্ন ঈদ-উল-আজহার ছুটির কারণে অনেক পোশাক মালিক মে মাসে তাদের শিপমেন্ট বাড়িয়েছেন। সে কারণেই মে মাসে রপ্তানির পরিমাণ বেশি।'
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া প্রায় সব পণ্য চট্টগ্রামের ১৯টি বেসরকারি অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোতে লোড করা হয়। এছাড়া এ ডিপোগুলোয় খাদ্য সামগ্রীসহ ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্য হ্যান্ডেল করা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রুহুল আমিন শিকদার বলেন, 'অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোতে রপ্তানি পণ্যের পরিমাণ বাড়ছে। ২০২৪ সালে প্রতি মাসে রপ্তানি ১০ শতাংশ করে বাড়ছে। ফলে ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যের শিপমেন্টের হারও বেড়েছে।'
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশই হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বাংলাদেশের সমস্ত সমুদ্রবন্দর দিয়ে পরিবহন করা পণ্যবাহী কনটেইনারগুলোর প্রায় ৯৮ শতাংশ এ সমুদ্রবন্দর দিয়ে পরিবহন করা হয়। বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্যের প্রায় ২৫ কনটেইনারের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়।