চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পোলিং এজেন্টসহ ৩ জনের কারাদণ্ড
দেশের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে আজ বুধবার (৫ জুন) ২৬ জেলার ৬০টি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
৬০টি উপজেলা পরিষদের ১৮০টি পদের বিপরীতে মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীদের মধ্যে ২৫১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬৫ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২০৫ জন মহিলা (সংরক্ষিত) ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ৬০টি উপজেলার ৫ হাজার ১৪৪টি ভোটকেন্দ্রে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪৪ লাখ ( ১ কোটি ৪৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮২০ জন)।
এর মধ্যে ছয়টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকি উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে।
দুপুর ১২টা ২০ মিনিট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পোলিং এজেন্টসহ ৩ জনের কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অবৈধভাবে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ ও মোবাইল ফোন বহন করার দায়ে দুই পোলিং এজেন্টসহ তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হারুন মিয়া, শাহানা বেগম ও কাউছার মিয়া।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরানুল হক ভূঁইয়া ও মঈন উদ্দিন খন্দকার পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সকালে বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়ানগর মোহাম্মদিয়া আলিম মাদ্রাসায় কাউছার মিয়া নামে এক যুবক ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে। ভোটার না হয়েও কেন্দ্রে প্রবেশ করায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করেন।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঈন উদ্দিন খন্দকারের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে পাঁচ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞার পরও ছাতারপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল ফোন বহন করার দায়ে হারুন মিয়া ও শাহানা বেগম নামে দুই প্রার্থীর এজেন্টকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে হাজির করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরানুল হক ভূঁইয়া তাদের তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট
কুমিল্লায় ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের প্রবেশে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বাধা
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের তুগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার প্রার্থীর এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পোলিং এজেন্টের অভাবে ভোটাররাও কেন্দ্রে আসেননি। দেড় ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র দুটি।
তুগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সারওয়ার আলম বলেন, 'তুগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৩৬০ জন ভোটার রয়েছেন। কেন্দ্রে ভোটকক্ষ পাঁচটি। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ৮ টা ৩৫ মিনিটে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু ইউসুফ ভূঁইয়ার এক এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকতে আসেন। নির্দিষ্ট সময়ের পরে আসায় আমি ঢুকতে দিইনি। তাই তারা সব প্রার্থীর সমর্থক নিয়ে কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে নিয়ে গেছে। তারা ভোটারদের আসতে দিচ্ছে না। এখন কেন্দ্রে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া আর কেউ নেই।'
এদিকে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুল হক বলেন, পুলিশ ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আমাদের কাছে খরচ চেয়েছিল। আমরা না দেওয়ায় যেসব এজেন্ট দেরিতে এসেছে তাদের ঢুকতে দেয়নি। তাই আমরা সকল প্রার্থীর সমর্থরা মিলে এই কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করছি।
একই দাবি করেছেন আনারস প্রতীকের কেন্দ্রের প্রধান এজেন্ট আবু সুফিয়ান জুলিয়াস ও কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট সাইফুল ইসলাম।
এবিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, এটি প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিষয়।
সকাল ৯টা ২৫ মিনিট
বরিশালে ভোটগ্রহণ শুরু, প্রথম ঘণ্টায় ভোটার উপস্থিতি কম
চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশালের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বানারীপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।
উজিরপুরে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী রয়েছেন।
বাবুগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী রয়েছেন।
বানারীপাড়ার ৮টি ইউনিয়নের ৫৩টি কেন্দ্রে মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ৭২ হাজার ৭৫৪ জন এবং নারী ৬৯ হাজার ৬০৬ জন।
উজিরপুরের ৯টি ইউনিয়নের ৮৩টি কেন্দ্রে ২ লাখ ২০ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৩ হাজার, নারী ১ লাখ ৮০ হাজার এবং হিজড়া ১ জন।
বাবুগঞ্জে ৬টি ইউনিয়নের ৫৪টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ ভোট দেবেন। যার মধ্যে পুরুষ ৭১ হাজার ৩১১ জন, নারী ৭০ হাজার ৬৪৮ জন।
গত ২৪ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
সমতল জেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাহারায় ১৭-১৯ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল এবং ১৯-২১ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অতি দুর্গম এলাকার একটি ভোটকেন্দ্র পাহারা দিচ্ছেন।
এবার চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন। দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে প্রায় ৪৫০টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে কমিশন।
গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে, গত ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় এবং গত ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ৯০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।