সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অন্তত দুই হাজার শিক্ষার্থী।
রবিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনের গেট থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, 'সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনরায় প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত মেধা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।'
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেসের ফরাসি ভাষার শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার আহ্বান জানান, যেখানে সব চাকরিপ্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ থাকবে।
তিনি বলেন, 'আমি নারী হলেও নারী কোটা চাই না। কারণ কোটা পদ্ধতি মেধাতন্ত্র সমর্থন করে না।'
আরেক শিক্ষার্থী রিফাত রশিদ সমান অধিকারের সাংবিধানিক নিশ্চয়তার কথা তুলে ধরে বলেন, 'হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত এসব মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।'
তিনি বলেন, 'এ ধরনের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত এদেশের শিক্ষার্থীরা কখনোই মেনে নেবে না।'
২০১৮ সালের সিদ্ধান্ত পুনর্বহালের আহ্বান জানান তিনি।
আরেক আন্দোলনকারী বলেন, কোটা পদ্ধতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এতে কম যোগ্যরাই লাভবান হবে।
সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে হাইকোর্টের রায় প্রত্যাহার এবং ২০১৮ সালের নীতিমালা পুনরায় প্রবর্তনের আহ্বান জানিয়ে স্মারকলিপি দেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও (জবি) একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।