নারায়ণগঞ্জে চেয়ারে বসা নিয়ে দুই মেয়রপ্রার্থীর হাতাহাতি, ইসির শোকজ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের সময় চেয়ারে বসা নিয়ে তর্কের জেরে দুই মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (১০ জুন) সকাল ১১টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশের সামনেই উভয়পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়।
এ ঘটনায় উভয় মেয়রপ্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের দিন ধার্য ছিল। এ সময় সম্মেলন কক্ষে অবস্থান করছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজাল্লি ইসলাম ও রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা।
প্রতীক বরাদ্দের আগে সম্মেলন কক্ষে সামনের আসনে বসা নিয়ে দুই মেয়রপ্রার্থী আবুল বাশার বাদশা ও রফিকুল ইসলামের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে উভয়পক্ষের কর্মী-সমর্থকরাও এতে জড়িয়ে পড়েন। তারা একে-অপরের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারেন ও সম্মেলন কক্ষের চেয়ার, দরজা, জানালা ও প্রজেক্টর ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষই একে-অপরকে দোষারোপ করছেন।
মেয়রপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, 'পরাজয় নিশ্চিত জেনে বহিরাগতদের এনে আমার ও আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমি চেয়ারে আগে বসেছিলাম। কিন্তু আমাকে উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বাদশার লোকজন।'
অন্যদিকে আরেক প্রার্থী আবুল বাশার বাদশা বলেন, 'চেয়ারে বসা নিয়ে তর্ক শুরু হয় কর্মীদের সাথে। তারা কাউকে বসতে দিচ্ছিল না। গায়ের জোর দেখিয়ে হাতাহাতি শুরু করে। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।'
এ বিষয়ে রিটানিং কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, 'অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে একটি ঘটনা ঘটেছে। উভয় মেয়রপ্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। কেন তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গের দায়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে তাদের কাছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে।'