প্রতারণা এড়াতে ঢাকার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ৩০ ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম
শুধু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া কোরবানির পশুর চিকাৎসাই নয়, অসৎ ব্যবসায়ীরা যাতে অসুস্থ পশু প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রি করতে না পারেন সেজন্য ঢাকার হাটগুলোতে ৩০টি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে কাজ করবে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, 'কোরবানির বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপদে কোরবানির পশু কেনা-বেচার পরিবেশ তৈরিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী তিনটি দিন ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা এ দায়িত্ব পালন করবেন। এই কাজে মন্ত্রণালয় থেকে যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা তা করব।'
তিনি বলেন, 'ক্রেতারা যাতে একটি সুস্থ-সবল পশু কিনতে পারে এবং খামারিদের পশুগুলো যাতে ঢাকা শহরের এই বিরূপ পরিবেশে অসুস্থ হয়ে না পড়ে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
অধিদপ্তর বলছে, কোরবানির ঈদ এলে হাটে আসে নানা রকমের পশু। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী হাটে অসুস্থ পশু এনে প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে বিক্রি করেন। এ ধরনের প্রতারণা ঠেকাতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে। ৩০টি গাড়িতে করে তারা ঢাকার স্থায়ী অস্থায়ী ২০টি হাটে কাজ করবে। হাটগুলোতে এই টিমের জন্য নির্দিষ্ট বুথও থাকবে। যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই তাদের সহযোগিতা নিতে পারবেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, 'এবার পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সারা দেশে প্রায় তিন হাজার কোরবানির পশুর হাট বসবে। আমাদের ১৭০০ টিরও বেশি ভেটেরিনারি টিম রয়েছে। যারা প্রতিটি পশুর হাটে সেবা দেবে। বড় বাজারগুলোয় প্রয়োজনে একাধিক টিম থাকবে এবং অস্থায়ী একাধিক বাজারে একটি টিম দায়িত্ব পালন করবে।'
তিনি বলেন, আগামী ১৬ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের সব বাজারে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। ক্রেতারা যাতে সুস্থ পশু কিনতে পারে, প্রতারণার শিকার না হন এবং পশুকে যাতে অপচিকিৎসা দেওয়া না হয় সেজন্য আমরা এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।'
প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এ বছর এক কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩৯৪টি পশুর চাহিদার বিপরীতে দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর অ্যাভেইলেবিলিটি রয়েছে এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি।