মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে বিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন: ২ হাজারের বেশি পরিবারকে সরকারি চাল
সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপে দুই হাজার ৩০৩টি পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ শুরু করেছে।
সম্প্রতি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের কারণে প্রবালদ্বীপটিতে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শনিবার (১৫ জুন) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, কক্সবাজার থেকে পণ্যবাহী জাহাজ এমভি বারো আউলিয়া গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে দ্বীপে পৌঁছানোর পর আজ সকালে বিতরণ শুরু হয়।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসব চাল বিতরণ শেষ হবে বলে তিনি জানান।
চেয়ারম্যান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দ্বীপে খাদ্য সংকট ছিল। 'সেন্টমার্টিনবাসী খাদ্যসামগ্রী পেয়ে এখন স্বস্তি বোধ করছেন,' বলেন তিনি।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার নৌপথে বাংলাদেশি নৌযান লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ১২ জুন টেকনাফের বদলে কক্সবাজার জেটি থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে চাল, ডাল ও তেলসহ দুই মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষ এবং সেন্টমার্টিন নৌপথে ৩টি নৌযান লক্ষ্য করে মিয়ানমারের অজ্ঞাত সশস্ত্রগোষ্ঠীর গুলি চালানোর কারণে এ পথে নৌ-চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফলে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির ১০ হাজার বাসিন্দা খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকটের মুখোমুখি হন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এমভি বারো আউলিয়া জাহাজে পাঠানো খাদ্যপণ্য দ্বীপবাসীদের জন্য এক মাস স্থায়ী হবে।