‘ওয়াটার পিউরিফায়ার’ ঘোষণায় এল ৫০ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট
পানির ফিল্টার ( ওয়াটার পিউরিফায়ার) আমদানির ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এক কনটেইনারভর্তি মন্ড ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট নিয়ে এসেছে ঢাকা যাত্রাবাড়ীর স্যামপুর বাণিজ্যিক এলাকার প্রতিষ্ঠান হ্যামকো কর্পোরেশন লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে পণ্যের চালানটি আটক করে কাস্টম হাউজের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিট (এআইআর)।
ব্যাংককের এশিয়ান গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৩০০ প্যাকেজে ৫ টন ওজনের পানির ফিল্টার আমদানির ঘোষণা দেয় হ্যামকো।
মিথ্যা ঘোষণায় আনা ওই চালানে আড়াই হাজার কার্টনে ৫০ লাখ শলাকা বিদেশি মন্ড ব্রান্ডের সিগারেট রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউযের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার খাইরুল বাশার।
তিনি টিবিএসকে বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে বিদেশি সিগারেট উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় অবৈধভাবে বিদেশ থেকে সিগারেট আমদানি করছিল একটি সিন্ডিকেট। পানির ফিল্টার ঘোষণায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা বিদেশি সিগারেটের একটি বড় চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও শুল্ক গোয়েন্দা। চালানটি আনতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার গুলশান অ্যাভিনিউর সিটি ব্যাংকে এলসি খোলে। এই চালান নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি কোটা আঙ্গগুন চট্টগ্রাম বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের ১০ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। জাহাজটির একটি কনটেইনারে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির তথ্য ছিল কাস্টমসের এআইআর শাখার কাছে।
খাইরুল বাশার বলেন, পরে বৃহস্পতিবার রাতে কনটেইনারটি নামিয়ে কায়িক পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় পানির ফিল্টারের স্থলে আনা হয়েছে আড়াই হাজার কার্টন (৫০ লাখ শলাকা) মন্ড ব্রান্ডের সিগারেট।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস জানিয়েছে, এই চালানটিতে কত টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, তা নির্ণয়ের কাজ চলছে। এছাড়া আমদানিকারক ও এই চালানের সঙ্গে জড়িতদের কাস্টমস আইনের আওতায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।