পুরোদমে চালু হয়েছে তৈরি পোশাক কারখানা
টানা ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও পুরোদমে চালু হয়েছে দেশের প্রায় সব পোশাক কারখানা, টেক্সটাইল মিল এবং সংশ্লিষ্ট আনুষাঙ্গিক শিল্প কারখানাগুলো। আজ বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে কারখানা চালু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) কর্মকর্তারা।
এর আগে, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে টানা ৫ দিন বন্ধ থাকে দেশের তৈরি পোশাক খাতের কারখানাগুলো।
খাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গতকাল (২৩ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর তারা ফের পুরোদমে উৎপাদন শুরু করেছেন।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে আলাপকালে বিজিএমইএর পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন বলেন, সব কারখানা তাদের স্বাভাবিক রুটিন অনুসরণ করে সকাল ৮টায় আবারও উৎপাদন শুরু করেছে।
তিনি বলেন, "ছাত্রদের বিক্ষোভের সাথে আমাদের কর্মীদের কোনো সম্পর্ক নেই, তাই সরকার আমাদের উৎপাদন পুনরায় শুরু করার অনুমতি দিয়েছে।"
বিটোপি গ্রুপের চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার (এইচআর, অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট) সিরাজুল ইসলাম আজাদ বলেন, কুমিল্লা, আদমজী ও ঢাকায় তিনটি ইপিজেড কারখানাসহ তাদের মোট চারটি কারখানা রয়েছে; এসব কারখানায় কর্মীদের উপস্থিতি প্রতিদিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও জানান, প্রায় ২০,০০০ কর্মীর মধ্যে গড়ে ২.৫ শতাংশ অনুপস্থিত।
তিনি বলেন, প্রচুর কাজের চাপ রয়েছে কারখানায়, তবে কারফিউয়ের কারণে মাত্র কয়েক ঘণ্টা উৎপাদন চালানো সম্ভব হবে। কিছুদিন পরে ওভারটাইমের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মাসকো গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার (মার্চেন্ডাইজিং) মো. শরাফত হোসেন সোহেল বলেন, গ্রুপের তিনটি ডাইং, প্রিন্টিং এবং এমব্রয়ডারি ইউনিটসহ ১১টি ইউনিট রয়েছে— যেখানে প্রায় ২৩,০০০ লোক কাজ করেন।
তিনি জানান, আজকের উপস্থিতি নিয়মিত দিনের মতোই স্বাভাবিক।
কারফিউ বিরতি ১০টা থেকে শুরু হলেও সকাল ৮টা থেকে কাজ শুরু করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। শরাফত হোসেন জানান, কারখানার কাছাকাছি অবস্থান করায় সকাল থেকেই কাজে যোগ দিতে পেরেছেন তারা।