তিন সমন্বয়ক আসিফ, নাহিদ ও বাকেরকে তুলে নেওয়ার ব্যাপারে যা জানালো ডিবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম তিন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বকের মজুমদার ও নাহিদ ইসলামকে রাজধানীর একটি হাসপাতাল থেকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গতকাল হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সমন্বয়কদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে এবার মুখ খুলছেন ডিবি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সমন্বয়কদের হেফাজতে নেওয়ার কারণ জানান তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, "প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার এই তিনজনকে আমরা গতকাল রাতে নিয়ে এসেছি। আপনারা জানেন তারা ফেসবুকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছিলেন। তাদের একজনের বাবাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বিভিন্ন জায়গা বলেছেন।"
তিনি বলেন, "আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে আমরা মনে করি, কেউ যদি কোথাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেন, আমাদের দায়িত্ব তাদের সেইফটি-সিকিউরিটি দেওয়া; এটাই আমাদের কাজ। তাই তাদেরকে সেইফটি-সিকিউরিটি দিচ্ছি।"
হারুন আরও বলেন, "পাশাপাশি আপনারা জানেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং আরও কিছু নেতৃবৃন্দকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করছি। তারা জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, সমন্বয়কদের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তাই অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাদের কি কথা হয়েছে এগুলো জানার জন্য তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। পাশাপাশি আমরা তাদের সেইফটি-সিকিউরিটি দেবো।"
এর আগে, গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বকের মজুমদার ও নাহিদ ইসলামকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা আটক করে।
আটকের বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, "আসিফ, নাহিদ ও বাকের- কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই তিন নেতাকে নিরাপত্তাজনিত কারণে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।"
বিভিন্ন গণমাধ্যমে ডিবি সদস্যরা তাদের তুলে নিয়ে গেছে— এমন সংবাদ প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর ডিবি প্রধান এই তথ্য জানান।