‘সরকার বনাম শিক্ষার্থী’ গেম খেলে ফায়দা লোটার চেষ্টা চলছে: কাদের
একটি মহল 'সরকার বনাম শিক্ষার্থী' গেম খেলে ফায়দা লোটার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ (শুক্রবার) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের বলেন, "শিক্ষার্থীদের মূল দাবি সুরাহা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কোনো অবস্থাতেই সরকারের প্রতিপক্ষ নয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এরপরও একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থী গেম খেলে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলা সহিংসতা নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, "সরকার এরইমধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। জাতিসংঘ তদন্তের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরাও তাদের স্বাগত জানিয়েছি। কে অপরাধী, কে অপরাধী নয়; প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।"
একইসাথে কোনো শিক্ষার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে দায়িত্বশীলদের খেয়াল রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, "প্রধান দাবি যেহেতু মানা হয়েছে, সেহেতু শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যাবেন, সেটাই আমাদের বিশ্বাস। অশুভ রাজনীতির ঢাল হিসেবে ব্যবহার হোক, এটা কেউ চায় না।"
এদিকে এদিকে আজ (শুক্রবার) দেশব্যাপী প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণহত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীকাল মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন ও জুমার নামাজ শেষে ছাত্রজনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রদের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ বাংলাদেশের সব স্তরের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
একইসঙ্গে মসজিদের ইমাম ও খতিব এবং মাদরাসার শিক্ষকদের 'ছাত্র জনতার গণমিছিল' বের করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ছয় দিন পর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় থেকে ছাড়া পেয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে প্রশ্ন করেছেন, 'ছয় দিন ডিবি হেফাজতে ছয়জনকে আটকে রাখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের পুরো তরুণ প্রজন্মকে আটকে রাখবেন কীভাবে।'
তিনি বলেছেন, 'যতদিন গণগ্রেপ্তার, জুলুম ও নির্যাতন চলবে, ততদিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনও চলবে।'