নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য শ্রমিক নেতাদের সহযোগিতা চান পোশাক রপ্তানিকারকরা
দেশে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে পোশাক রপ্তানিকারকরা তাদের কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন বজায় রাখতে শ্রমিক নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) প্রধান শিল্প অঞ্চলগুলোর আঞ্চলিক শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ অনুরোধ জানান।
নেতারা শ্রমিকদের গুজবে কান না দিয়ে শিল্প ও শ্রমিকদের বৃহত্তর স্বার্থে নিজ নিজ কারখানায় কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
বিজিএমইএ'র উত্তরা প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের দেড় শতাধিক শ্রমিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি এবং সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, আবদুল্লাহ হিল রাকিব প্রমুখ।
বৈঠকের পর আবদুল্লাহ হিল রাকিব দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমরা শ্রমিক নেতাদের অনুরোধ করেছি বহিরাগতদের দ্বারা প্ররোচিত যেকোনো বিশৃঙ্খলামূলক কর্মকাণ্ডে শ্রমিকদেরকে নিরুৎসাহিত করতে।"
তিনি বলেন, শ্রমিকরা তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক বিশ্বাসের অধিকার রাখে এবং যেকোনো আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে পারে, তবে তাদের নিজেদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে শিল্পের সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শিল্পের বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ যেমন— সময়মত শিপমেন্ট করতে না পারা, রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রমে বাধার মুখোমুখি হওয়া— ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন বৈঠকে।
কারখানাগুলো বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে বিলম্ব হওয়াসহ আরও নানান রকম অসুবিধা রোধ করতে উৎপাদন এবং কারখানার কার্যক্রম বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেন করেন তিনি।
বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা শ্রমিক প্রতিনিধিদের সোশ্যাল মিডিয়া এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রচারিত গুজব বিশ্বাস না করতে শ্রমিকদের উৎসাহিত করার অনুরোধ করেন; কারণ এতে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে নিরুৎসাহিত হতে পারেন।
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার বলেন, বিজিএমইএ নেতারা স্থিতিশীল কাজের পরিবেশ বজায় রাখতে শ্রমিক নেতাদের সমর্থন চেয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বিজিএমইএ তাদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে, সাম্প্রতিক কারফিউ সাধারণ ছুটি হিসাবে গণ্য হওয়ায় কারখানা বন্ধের জন্য কোনো মজুরি কাটা হবে না।
খাদিজা আরও বলেন, বিজিএমইএ সভাপতি আরও আশ্বস্ত করেছেন, তিনি সব কারখানা মালিকদের সময়মতো মজুরি পরিশোধ করতে এবং কোনো শ্রমিককে যেন চাকরিচ্যুত না করা হয় সে ব্যাপারে নির্দেশ দেবেন।