খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি; দীঘিনালা অপরিবর্তিত
বৃষ্টি না থাকায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। দুই দিনের ব্যবধানে দুই দফায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। দুর্গত এলাকায় বন্যাপরবর্তী ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
তবে নিচু এলাকা হওয়ার কারণে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বেশিরভাগ এখনও পানিবন্দি। কবাখালি ও বোয়ালখালি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটা গ্রাম এখনও প্লাবিত।
এদিকে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে সেনাবাহিনী, প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন। বন্যার্তদের জন্য খাগড়াছড়িতে ৪০০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
বন্যার কারণে জেলায় আড়াই থেকে তিন হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। সড়ক থেকে পানি না নামায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে বাঘাইছড়ি ও লংগদুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সুপ্রদীপ চাকমা খাগড়াছড়ি সফর করছেন। সফরকালে শুক্রবার সকালে (১১টা) খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় তিনি বলেন, 'বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কেউ যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।'
উল্লেখ্য, গতকাল খাগড়াছড়িতে বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। অনেকেই পানিবন্দি হয়। আগস্ট মাসে ৩টি বন্যা দেখেছে খাগড়াছড়ির মানুষ।