৫ আগস্টে আশুলিয়া হত্যাকাণ্ড: হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আরও মামলা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আশুলিয়ায় গুলি করে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুটি অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৫ আগস্ট আশুলিয়ায় নিহত আস-সাবুরের ভাই রিজওয়ানুল ইসলাম এবং সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগমের পক্ষে আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান রাজধানীর ধানমন্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত শাখায় এ অভিযোগ দাখিল করেন। তদন্ত শাখার কর্মকর্তা আতাউর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এসব তথ্য জানান।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মারুফ হোসেন, ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফি, বেক্সিমকো লিমিটেডের সিকিউরিটি ইনচার্জ মনতাজউদ্দিন মন্ডল, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শরীফ ব্যাপারী, কাশিমপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোস্তাক আহমদ, কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি সাবের আহমেদ সজীব, ঢাকা-১৯ এর সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. নাদিম হোসেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ০৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর আনুমানিক বিকালের দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সব পুলিশ সদস্য এবং ঢাকা ডিবি উত্তরের সদস্যরা আসামিদের আদেশে আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়ে আস-সাবুর, আবদুল মান্নান, মিজানুর রহমান, তানজিল মাহমুদ সুজয়, সাজ্জাদ হোসেন সজল এবং বায়েজিদকে হত্যা করে এবং আশুলিয়া থানার সামনেই পুলিশ ভ্যানে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দেয়।
এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৪টি গণহত্যার অভিযোগ দেওয়া হলো।
অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলি করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের হত্যা করে তাদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে এবং তাদের সমূলে নির্মূল করার উদ্দেশ্যে হত্যা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ।
মামলার আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১)/৪(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।