চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বাদ রেখে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি, সোমবার শপথ নিতে পারেন শাহাদাত
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে ডা. শাহাদাত হোসেনের শপথ গ্রহণের বাধা দূর হয়েছে। ১৯ আগস্ট জারি করা সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে 'চট্টগ্রাম' বাদ দিয়ে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
ফলে মেয়র হিসেবে ডা. শাহাদাত হোসেনের শপথ নিতে আর কোনো আইনি বাধা রইল না।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মাহবুবা আইরিনের স্বাক্ষরিত ওই সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অংশ বিলুপ্ত বলে জানানো হয়।
আগামী সোমবার শপথ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪-এর ১৩ (ক) প্রয়োগ করে দেশের সিটি করপোরেশন মেয়রদের অপসারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এখন ওই প্রজ্ঞাপনের ক্রমিক নম্বর ৩ বিলুপ্ত করে সংশোধন করা হলো।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, 'মেয়র অপসারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের সংশোধন এসেছে। সোমবার শপথ গ্রহণ হতে পারে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।'
এর আগে ১ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ খাইরুল আমীন ডা. শাহাদাত হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন।
৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন সাবেক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর স্থলে ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট সংশোধনী জারি করে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন গোলাগুলি, সংঘর্ষ, ও হামলার ঘটনা ঘটে।
নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত ফলাফল প্রত্যাখান করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।
পরে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে কারচুপির অভিযোগে ৯ জনকে বিবাদী করে মামলা করেন নগর বিএনপির সাবেক এ আহ্বায়ক।