৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ৫ হাজার ৫৯৮ জনের: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ৫ হাজার ৫৯৮ জনের, আহত হয়েছেন ৯ হাজার ৬০১ জন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
নিহতের মধ্যে নারী ৬৭৭ ও শিশু ৭২৯ জন। এছাড়া, যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৮৮ জন, যা মোট নিহতের ১২.২৯ শতাংশ।
২,০৪১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ১ হাজার ৯২৪ জন, যা মোট নিহতের ৩৪.৩৬ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১২১ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের প্রায় ২০ শতাংশ।
নিহতের মধ্যে বাসযাত্রী ছিলেন ২৯৩ জন বা ৫.২৩ শতাংশ, এবং ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-লরি ইত্যাদি পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী মারা গেছেন ৪২০ জন। এছাড়া, দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে এসব পণ্যবাহী যানবাহনের সম্পৃক্ততার হার ২৩.১৪ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাসের ক্ষেত্রে তা ১০.২৫ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ ৪.৭৬ শতাংশ এবং থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান ইত্যাদি) ১৬.৪৯ শতাংশ।
স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন নসিমন-করিমন-ভটভটি ইত্যাদির দুর্ঘটনা সম্পৃক্ততার হার ৫.৯১ শতাংশ, বাইসাইকেল-রিকশা ২.২০ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ১৬.৪৬ শতাংশ।
এই সময়ে ৮৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২৪ জন নিহত, ১২৫ জন আহত এবং ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আর ২৪৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২২৭ জন নিহত এবং ২২৩ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার বিশ্লেষণে বলা হয় – দুর্ঘটনাসমূহের ১,২০৪টি (২১.৯৫%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২,৩৬৯টি (৪৩.১৯%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১,১৪৮টি (২০.৯২%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৬৪৯টি (১১.৮৩%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১১৫টি (২.০৯%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
সড়ক দুর্ঘটনার বেশিরভাগ বা ৩৩.৭১ শতাংশ ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, আঞ্চলিক সড়কে এই হার ৩৮.০৯ এবং গ্রামীণ সড়কে ১৪.০৫ শতাংশ এবং শহরের সড়কে ১২.২১ শতাংশ।