মন্ত্রণালয়গুলোকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে তাদের রাজস্ব আহরণ ও বাজেট বাস্তবায়নের পরিকল্পনা অর্থবিভাগে জমা দিতে বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অপরিকল্পিত সরকারি ঋণ এড়ানো ও বরোয়িং কস্ট (ধার/ঋণ নেওয়ার খরচ) কমানো এবং আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারের আয়–ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-১) বিলকিস জাহান রিমি স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান সংগ্রহের পরিকল্পনাও চেয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়।
এছাড়া, প্রত্যেক প্রান্তিক শেষ হওয়ার এক মাসের বাজেট বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনও অর্থ বিভাগের জমা দিতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার একটি প্রধান কারণ রাজস্ব আহরণ ও সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিকল্পনা না থাকা। বাজেট সুষ্ঠুভাবে সময়মত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে অপরিকল্পিত সরকারি ঋণ এড়ানো এবং বরোয়িং কস্ট উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করা সম্ভব হবে।
প্রত্যেক মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে পূর্ববর্তীমাসের সকল ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা, অর্থবছরের প্রত্যেক কোয়ার্টারে প্রায় একই পরিমাণ মেরামত ও সংরক্ষণ কাজ সম্পন্ন করার কথা বলেছে অর্থ বিভাগ।
বিগত বছরের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে অর্থ বিভাগ বলেছে, 'বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সাধারণত অর্থবছরের শুরুতে ধীরগতিতে চলে। এ সময় বেতন-ভাতা ছাড়া অন্যান্যখাতে ব্যয়ের পরিমাণও কম থাকে। বিশেষ করে, বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, মেরামত ও সংরক্ষণ, নির্মাণ ও পূর্ত এবং মালামাল কেনার ক্ষেত্রে অর্থবছরের শেষ দিকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।'
'ফলে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। উপরন্তু, বছরের শেষে এসে সরকারকে অপরিকল্পিত ঋণের দায়ভার গ্রহণ করতে হয়। এতে আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা যায় না,' বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
'সময়মত ও সুষ্ঠু বাজেট বাস্তবায়ন এখনো একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ' উল্লেখ করে অর্থবিভাগ বলেছে, গত তিন বছরে ঘোষিত কিছু কার্যক্রম এখনও বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটেও কিছু কার্যক্রম ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য অর্থবছরের শুরুতে সুনির্দিষ্ট ও সময়নিষ্ঠ পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন।