আওয়ামী লীগসহ ১১ দলের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট চালাবেন না হাসনাত, সার্জিস
আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দলকে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।
একই সাথে তারা গত তিন সংসদ নির্বাচনের (১০ম, ১১ম এবং ১২ম) বৈধতা নিয়ে করা আরেকটি রিট আবেদনও এগিয়ে নেবেন না বলে প্রথম আলো জানিয়েছে।
দুটি রিট আবেদন আজ (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর উচ্চ আদালত বেঞ্চে ২০৮ এবং ২০৯ ক্রমিক নম্বর হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিল।
আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে রিট আবেদনকারীদের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম আদালতকে জানান, তার মক্কেলরা দুটি রিট চালাবেন না।
এরপর, আদালত রিট আবেদনগুলোকে তালিকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
আইনজীবী আহসানুল করিম টিবিএসকে বলেন, "রিটকারিরা রিট দুটি আর চালাতে চান না। সেটি আদালতকে জানানোর পর কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।"
এর আগে, গতকাল (২৮ অক্টোবর) আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দলকে সকল ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম ও মো. আবুল হাসনাত-সহ তিনজন।
অন্য ১০টি রাজনৈতিক দল হলো- জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, এলডিপি, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী দল, মার্ক্সিস্ট-লেলিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোসিওলিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ।
আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে রিটে বিবাদী করা হয়।
এছাড়া, আওয়ামী লীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দেবে না সে বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে।
মঙ্গলবার বিকেলে রিটকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের বলেন, ~কোনো মামলা যদি ক্লায়েন্ট (মক্কেল) প্রত্যাহার করতে চান, তিনি তখন মামলা প্রত্যাহার করার ইন্সন্ট্রাকশন দেন। আর আইনজীবী সে হিসেবে কাজ করেন। মক্কেল কখনো বলেন না তিনি কি কারণে ইন্সট্রাকশন দিচ্ছেন। সুতরাং আমি তো বলতে পারব না কি কারণে মামলাটা চালানো হচ্ছে না।"
তিনি আরও বলেন, "এ বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা বোঝা যায় সার্বিক গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য, দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য তারা (আবেদনকারী) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যখন কোনো মামলা চালাতে না চায় তখন কার্যতালিকা থেকে বাদ হয়ে যায়।"
আবেদনে ১১ দলের বিষয়ে তিনি বলেন, "এখানে ভুলক্রমে কিছু দলের নাম চলে এসেছে। কিছু নাম বাদও পড়েছে। সেটা সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। যদি মামলা মুভ হতো তাহলে নামগুলো বাদ যেতো।"