পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের রুল শুনানিতে পক্ষভুক্ত হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিতে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য উপস্থাপন করার সুযোগ দিয়ে হাইকোর্ট আবেদন গ্রহণ করেছেন।
বিএনপির পক্ষে ইন্টারভেনর হিসেবে রিটের পক্ষভুক্ত হতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মির্জা ফখরুলকে পক্ষভুক্ত করে আদেশ দেন।
আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
এ ব্যাপারে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, 'হাইকোর্টের আদেশের ফলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিতে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারবেন।'
গতকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিতে ইন্টারভেনর হতে আবেদন করে বিএনপি। দলটির পক্ষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাইকোর্টে এ আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, 'আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন সব বিরোধী দলের দাবি মেনে নিয়ে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করে। পঞ্চম জাতীয় সংসদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় এটি সংসদে পাস করা সম্ভব হয়নি। সেজন্য ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর জনগণের দাবি মেনে নিয়ে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে।'
আবেদনে আরও বলা হয়, 'কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। তবে এই সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে ফেরাতে বিএনপি প্রায় দেড় দশক ধরে রাজপথে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে, এই মামলায় ইন্টারভেনর হয়ে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ চাচ্ছে বিএনপি।'
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৯ আগস্ট রুল জারি করেন উচ্চ আদালত।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর রায়ের বেঞ্চ সোমবার এ বিষয়ে রুল জারি করেন।
পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) দিন ধার্য রয়েছে।