সনাতন জাগরণ মঞ্চের সমাবেশ: চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নামে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি, ২ দিনের আলটিমেটাম
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ এটির মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে করা 'মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়। নগরীর মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ খান এ মামলার বাদী।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এক বিশাল সমাবেশে এ মামলা প্রত্যাহারেরর জন্য দুই দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
সোমবারের (৪ নভেম্বর) মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।
বিকেলের সমাবেশে কয়েক হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী তাদের আট দফা দাবি জানিয়ে সমাবেশে অংশ নেন। তারা অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমাবেশে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, 'সমাবেশে বাধা দেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। খোঁজ নিতে হবে।'
সনাতন জাগরণ মঞ্চের প্রধান সংগঠক গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, 'মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি দেব। এরপরও যদি আমাদের দাবি পূরণ না হয়, তবে আমরা সোমবার থেকে সারাদেশে কঠোর কর্মসূচি শুরু করব।'
গৌরাঙ্গ দাস আরও জানান, তাদের আট দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাবির মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।
একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন ও সংসদে হিন্দু জনসংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষিত আসনের দাবিও জানানো হয়েছে।
হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে এবং বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্টগুলোকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করার দাবিও এ আট দফায় অন্তর্ভুক্ত।
পাশাপাশি দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়নের দাবিও জানিয়েছে সনাতন জাগরণ মঞ্চ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপাসনালয় ও হোস্টেলে প্রার্থনা রুম নির্মাণ, সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন এবং দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি দেওয়ার দাবিও এ তালিকায় রয়েছে।