গাজীপুরে আরও ৫ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, ১৩ কারখানা ছুটি
শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে আরও তিনটি ও কাশিমপুর এলাকার দুটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার কারখানাগুলোর সামনে বন্ধ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও একই কারণে গাজীপুর মহানগরীর আরও ১৩ কারখানা একদিনের (সোমবার) জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কোনাবাড়ী এলাকার বন্ধ ঘোষণা করা কারখানাগুলো হচ্ছে- এম এম নীটওয়্যার লিমিটেড, মামুন নীটওয়্যার লিমিটেড ও মকুল নীটওয়্যার লিমিটেড।
এম এম নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানার কর্তৃপক্ষ নোটিশে জানায়, গতকাল রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে শ্রমিকরা অযৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। তারা কারখানা থেকে বেরিয়ে মেইন গেটে হামলা করে ও কারখানায় অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করে। কর্তৃপক্ষ তাদের বেশ কয়েকটি দাবি মেনে নিয়ে কাজে ফেরার অনুরোধ জানালেও তারা শোনেননি।
মালিকপক্ষের দাবি, শ্রমিকদের এ কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী অবৈধ ধর্মঘটের শামিল। তাই কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে আজ সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে এম এম নীটওয়্যার লিমিটেডের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যদি শ্রমিকরা তাদের অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাহার করে এবং কারখানা খোলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাহলে কারখানা খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, কাশিমপুর এলাকার দুটি কারখানা লামুনি অ্যাপারেলস ও এ এফ সি লিমিটেড অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে কাশিপমপুর এলাকায় ডোরিন অ্যাপারেলস লিমিটেড ও ডোরিন গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়েছে মালিকপক্ষ।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর বেক্সিমকো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এলাকার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু তালেব জানান, আজ সকালে ডোরিন অ্যাপারেলস লিমিটেড ও ডোরিন গার্মেন্টস লিমিটেডের আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সাথে মালিকপক্ষের আলোচনা হয়। মালিকপক্ষ তাদের সব দাবি দেওয়া মেনে নেয়। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শ্রমিকরা কাজে ফিরবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আজ কারখানাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, কে এম নবেলি লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে। আন্দোলনের কারণে কারখানাটিতে আজ কাজ বন্ধ রয়েছে। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর (রোববার) কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা গ্রুপের ৬টি কারখানা শ্রমিক অসন্তোষের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।