সম্প্রীতির দেশ গড়তে একে-অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান সেনাপ্রধানের
সম্প্রীতির দেশ গড়ার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে একে-অপরকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে পবিত্র কঠিন চীবর দান উৎসব ও জাতীয় বৌদ্ধধর্মীয় মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সেনাপ্রধান বলেন, আমরা দেখতে চাই, এভাবেই প্রতিনিয়ত, প্রতি সময় আপনারা আপনাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করবেন। সুখে-শান্তিতে থাকবেন। এ জন্য যা কিছু করতে হয়, আমরা সেটা করব।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রতিটি ধর্মের নিজ নিজ উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম গ্রহণে প্রস্তুত। এর আগে দুর্গাপূজাতেও আমরা নিরাপত্তা দিয়েছি। সুন্দরভাবে তা উদ্যাপন করা হয়েছে।
তিন পার্বত্য জেলার কথা উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, পার্বত্য জেলায়, বিশেষ করে যেহেতু এখানে আমাদের একটু শান্তি-সম্প্রীতির কিছুটা ঘাটতি আছে, সেদিকটা পুষিয়ে নিতে চাই। একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। এ সময় সেনাপ্রধান পার্বত্য জেলাগুলোয় শান্তি ও সম্প্রীতির উন্নয়নে পাহাড়ি ও বাঙালিদের সচেষ্ট থাকার অনুরোধ করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পার্বত্য জেলাগুলোতে বেশি করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতাকে দেশে ও বিদেশে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সেনাপ্রধান সবাইকে কঠিন চীবর দান উপলক্ষে সবাইকে অভিনন্দন জানান। সেইসঙ্গে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের পাশাপাশি উপস্থিত দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ন্যুয়েন মান কুঅং এবং অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন।