আগামীকাল সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
বেলা সাড়ে তিনটায় সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে গুলশানের বাসা থেকে বের হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম খালেদা জিয়া প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। এর আগে ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সবশেষ সিলেট সফর করেন তিনি।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার টিবিএসকে এ তথ্য জানান।
খালেদা জিয়ার পাশাপাশি ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপির ২৬জন আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান পদমর্যাদার নেতা।
গতকাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছিলেন, 'এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দ মিলে ২৬ জন নেতার নামে আমন্ত্রণ কার্ড গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার সাহেবের কাছে সেনা কর্মকর্তারা দিয়ে গেছেন।'
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করেছিল। সেই দিনটা সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয় প্রতি বছর। দিবসটি ঘিরে সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে ৬ বছরের বেশি সময় পর জনসম্মুখে কোনো অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাদণ্ড হওয়ার পর ২০২০ সালে নির্বাহী আদেশ শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। সেখানে শর্ত ছিল তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না এবং বিদেশে যেতে পারবেন না।
সে অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের ৭ আগস্ট পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে কিংবা বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি খালেদা জিয়াকে।
তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেন। এরপর ৭ আগস্ট নয়াপল্টন বিএনপির সমাবেশে রেকর্ডকৃত বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়া।
২০২০ সাল থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য তার যুক্তরাজ্য হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার কথা রয়েছে।