রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৫৯ কর্মীকে অব্যাহতি, ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি এবং ৩৮ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক ধাপে এসব নির্দেশনা জারি করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই কারণে রাসিকের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাসিকের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, 'অস্থায়ী কর্মচারীদের মধ্যে যারা কর্মচারীসুলভ আচরণ না করে শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণ করেছেন, তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের কারো কারো কর্মদক্ষতা সন্তোষজনক ছিল না। অস্থায়ী কর্মচারী যারা দৈনিক মজুরিভিত্তিক, কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন না হলে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। আর স্থায়ী কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত আদেশ এবং শোকজে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বর্ণনা দেওয়া আছে। তারা জবাব দেবেন। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত।'
রাসিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ ধাপে রাসিকে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োজিত ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাসিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ ও সাধারণ সম্পাদক আজমীর আহমেদ মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তারা দুজনই সিটি করপোরেশনের স্থায়ী কর্মচারী। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তারা।
এর বাইরে রাসিকের আরও ১৭ জন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ২১ জন অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করেছেন প্রশাসক। স্থায়ী কর্মরতদের মধ্যে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ১৬ জনকে ও ১২ নভেম্বর তিনজনকে শোকজের চিঠি দেওয়া হয়। আর অস্থায়ী কর্মরতদের মধ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৯ জনকে ও ১২ নভেম্বর ১২ জনকে শোকজ করা হয়। পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের শোকজের জবাব দিতে বলা হয়।
শোকজের চিঠি পেয়েছেন রাসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ-সাইদ।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি একটা অভিযোগের চিঠি পেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি এর লিখিত জবাব দিয়েছি। এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য নেই।'