গাজীপুরে খুলেছে ৬ কারখানা, ছুটি ঘোষণা একটিতে
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়িতে একটি তৈরি পোশাক কারখানা থেকে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা বুধবার সকালে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ও শ্রমিকদের চাকুরীতে পূনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এতে কারখানার কার্যক্রম ব্যাহত ও পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠলে কারখানাটি ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে শিল্প পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
অপরদিকে, ইতিপূর্বে শ্রমিক আন্দোলনের কারণে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি জরুন এলাকায় ইসলাম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মালিকানাধীন ৬টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই কারখানাগুলো বুধবার সকাল থেকে পুনরায় উৎপাদনে ফিরেছে।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার মহানগরীর কোনাবাড়ি বিসিক শিল্প নগরীতে রেজাউল এ্যাপারেলস্ প্রাইভেট লিঃ কারখানার কর্তৃপক্ষ কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ৮৭ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে। এতে তাদের পরিবারগুলো চরম আর্থিক সংকট ও অনিশ্চয়তার পড়েছে। একারণে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ছাঁটাইকৃত ৮৭ জন শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ও শ্রমিকদের চাকুরীতে পূনর্বহালের দাবিতে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভরত শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের ছাঁটাই প্রক্রিয়া অন্যায় এবং শ্রম আইন লঙ্ঘন করে পরিচালিত হয়েছে। তারা অবিলম্বে পুনর্নিয়োগের দাবি জানান এবং এ বিষয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
এ বিষয়ে রেজাউল এ্যাপারেলস্ প্রাইভেট লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল হোসেন (রিপন) বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সকল পাওনাদি পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা পূনরায় নিয়োগের দাবিতে কারখানার প্রদান ফটকে এসে বিক্ষোভ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আজকে কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি শ্রমিক প্রতিনিধি এবং শ্রমিকদের সঙ্গে বসে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি জরুন এলাকায় ইসলাম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৬টি কারখানা শ্রমিক আন্দোলনের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই কারখানারগুলোর সকল সেকশনের কার্যক্রম পূর্বে ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। সকল সেকশনে উৎপাদন স্বাভাবিক ছিলো।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর কোনাবাড়ি জোনের পুলিশ পরিদর্শক মোর্শেদ জামান জানান, বুধবার সকাল থেকেই ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিল। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।