লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গার দুই যুবককে ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত যুবকরা হলেন- হৃদয় হাওলাদার (২৬) ও রাসেল হাওলাদার (২৫)।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দালাল চক্র পরিবারের হোয়াটসঅ্যাপে নিহত দুই যুবকের ছবি পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে। নিহত হৃদয় হাওলাদার ওই গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে এবং রাসেল হাওলাদার একই গ্রামের মজিবর হাওলাদারের ছেলে।
এদিকে, তাদের হত্যার পর দালাল চক্র পরিবারের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানোর পর থেকে স্বজনদের আহাজারি থামছে না। স্বজনদের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে ভিড় করছেন। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না কেউ।
নিহত হৃদয় হাওলাদারের বাবা মিন্টু হাওলাদার জানান, "দুই মাস আগে স্থানীয় আবু, তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই, সেখান থেকে সৌদি আরব, তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছে।"
নিহত হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান জানান, "কয়েকদিন আমার ভাই হৃদয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। ওরা আজ আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। সে টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে।"
স্থানীয় বাসিন্দা ফয়সাল হোসেন বলেন, "হৃদয় ও রাসেল নামের দুই জনকে লিবিয়াতে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনো অত্যাচার, কখনো প্রাণে মেরে ফেলে ওরা।"
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, "ভাঙ্গার দুই যুবককে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে দালালচক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"