রেস্টুরেন্টে খেতে হলে অবশ্যই ভ্যাকসিন কার্ড লাগবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে ও নতুন ধরণ ওমিক্রন প্রতিরোধে মাস্ক পরা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার। মাস্ক না পরলে প্রয়োজনে জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে গণপরিবহনে যাত্রী চলাচলের ক্ষেত্রে নির্ধারিত আসনের চেয়ে কম যাত্রী পরিবহনের বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করা হবে।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন 'ওমিক্রন' ইস্যুতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "টিকা যারা নিয়েছে তারা রেস্ট্রুরেন্টে খেতে পারবে। অফিসে যেতে পারবে। বিভিন্ন কাজ কর্ম স্বাভাবিক ভাবে করতে পারবে- মাস্ক পরা অবস্থায়। কিন্তু টিকা যদি না নিয়ে থাকে, তারা কিন্তু রেস্টুরেন্টে যেয়ে খেতে পারবে না। দেখাতে হবে টিকা সার্টিফিকেট। যে আমি টিকা নিয়েছি। তবেই সেই রেস্টুরেন্ট তাকে এন্টারটেইন করবে। এছাড়া যদি কেউ করে তাহলে সেই রেস্টুরেন্টকেও জরিমানা করা হবে।"
তিনি বলেন, "বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দর গুলোতে আরও নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে দেশে আসার পরে আর ঢিলে ঢালা কোয়ারেন্টিন হবে না। এছাড়াও সব ধরনের অনুষ্ঠান সংখ্যা কমানোর তাগিদ করা হবে।"
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "আপাতত লকডাউনে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই এই মুহূর্তে। আমরা তাই এ ধরণের কোনো সুপারিশও করিনি। লকডাউনের পর্যায় পর্যন্ত যাতে না যেতে হয়, সেজন্যই এ বৈঠক। যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার, সেগুলো নিই। এরপর দেখা যাক কী দাঁড়ায়।"
যানবাহনে চলাচলের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "যাদের যে সিট ক্যাপাসিট আছে, কমিয়ে যাতে চালানো হয় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে দোকান পাটে যে যাবে মাস্ক পরেই যেতে হবে। বাসে উঠলে মাস্ক পরতে হবে। ট্রেনে উঠলে মাস্ক পরতে হবে। মসজিদের গেলে মাস্ক পরতে হবে। অর্থাৎ সব জায়গায় মাস্ক পরতেই হবে। না পরলে তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জারিমানা করা হবে।"
এর আগে, সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে এ বৈঠক শুরু হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনুর মিয়া।