নেত্রকোনায় দারাজের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা
অনলাইনভিত্তিক পণ্য বিক্রয় ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান (মার্কেটপ্লেস) দারাজ বাংলাদেশ লিমিটিডের নেত্রকোনা হাব অফিসের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা হলেন, নেত্রকোনা হাব অফিসের ইনচার্জ আবু নাঈম মোহাম্মদ তানীম এবং স্টোর এজেন্ট আকম আজিম উস-শান। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ (এডমিসিস্ট্রেশন) মোঃ রাশেদুজ্জামান বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে মামলার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নেত্রকোনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত তানীম ও আজিম প্রায় দুই বছর ধরে দারাজের নেত্রকোনা হাব অফিসে চাকরি করছেন। বিভিন্ন সময়ে তারা নিজেরাই ক্রেতা সেজে দারাজ এ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১,৫০০টি দামি মোবাইল সেটসহ বেশকিছু দামি পণ্যের অর্ডার করেন। পরে আবার ওই পণ্যগুলো নিজেরাই গ্রহণ করে ডেলিভারি দেখান। কিন্তু কোম্পানিতে কোন টাকা পাঠাননি। বারবার তাগাদা করেও টাকা না পাওয়ায় এবং তাদের টালবাহানায় প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। এরপর তারা অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারেন, হাব অফিসের ইনচার্জ তানীম এবং স্টোর এজেন্ট আজিম এসব পণ্য বিক্রি বাবদ প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ১৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া হাব অফিসে মজুদ থাকা আরও ৬৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকাও গায়েব করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ (এডমিসিস্ট্রেশন) মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, "অভিযুক্তরা গত ১ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে এসব টাকা আত্মসাত করেছেন।"
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নেত্রকোনা মডেল থানাার এসআই নাজমুল হুদা বলেন, "আমরা মামলাটির তদন্ত করছি। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তারা দু'জনই পলাতক।"