সাস্টের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষকদের একাংশের সংহতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ আজ সোমবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
'বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক' ব্যানারে আজ সকালে অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে তারা প্রতীকী অনশন শুরু করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা জানান, সাস্টের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন তারা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিস উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ চান বলেও জানান তিনি।
সোমবার সাস্টের কিছু শিক্ষার্থীদের অনশনে বসার ছয়দিন পূর্ণ হলো।
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ চেয়ে ১৯ জানুয়ারি থেকে অনশনে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৪জন শিক্ষার্থী। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের ছাত্রীরা। পরে দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে দেওয়া উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফেরেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, উপাচার্য তাদের দাবি না মেনে সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করেন। পরে সেই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আহত হন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী। এতে কোন সুরাহা না হওয়ায় গতকাল (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ফের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও- তা হয়নি।
গতকাল রোববার উপাচার্যের বাসবভন ঘেরাও করে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।