শরীফ উদ্দিনকে নিয়ে গণমাধ্যমে পরিবেশিত সংবাদ একতরফা: দুদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মাহবুব হোসেন অভিযোগ করেছেন, চাকরিচ্যুত দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে নিয়ে দেশের গণমাধ্যমে একতরফা সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে।
রোববার (২০ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব হোসেন বলেন, "কমিশন শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দেওয়ার পর তা দেশের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। এই সংবাদ একপক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা প্রকৃত বাস্তবতার বিপরীত।"
শরীফ উদ্দিনকে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগেই চাকরিচ্যুত করা হয় বলে জানান দুদক সচিব।
মাহবুব বলেন, শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তিনি দুদকের তদন্ত ও অনুসন্ধানের গাইডলাইন অনুসরণ করেননি।
সচিব উল্লেখ করেন, "দুদকের চাকরি বিধিমালার ৫৪(২) ধারার আওতায় সংস্থাটি কোনো কর্মকর্তাকে কোনো কারণ না দর্শিয়েই অপসারণের ক্ষমতা রাখে।"
"দুদকে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা নির্ভয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু, তারা কেউ শরীফ উদ্দিনের মতো অনিয়মের অবকাশ দেননি।"
এসময় প্রভাবশালী মহলের চাপে শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন দুদক সচিব।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে একজন সিআইপি খেতাবধারী ব্যবসায়ীকে নির্যাতনসহ বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগে শরীফ উদ্দিনকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করে দুদক।
তবে এনিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দুদকের ভেতরে ও বাইরের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জন্ম নিয়েছে। বহিষ্কারের প্রতিবাদে দুদকের কর্মকর্তারা একটি মানব বন্ধন কর্মসূচিও পালন করেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রতি শরীফ উদ্দিনকে বহিষ্কারের পেছনে যথাযথ কারণ ব্যাখ্যার আহ্বান জানায়। দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর চাপে এ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে কিনা- তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।