দীর্ঘমেয়াদে কাতার থেকে আরো ১ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানিতে আগ্রহী বাংলাদেশ
২০২২ সালের মাঝামাঝি হতে কাতার থেকে বার্ষিক অতিরিক্ত ১ মিলিয়ন টন এলএনজি (MTPA) আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ। মঙ্গলবার কাতারের দোহায় হোটেল শেরাটনে কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সা'দ শেরিদা আল কাবির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
স্পট মার্কেট থেকে সস্তায় এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর কাতারে গিয়ে এই প্রস্তাব দেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। এজন্য বিদ্যমান দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির পাশাপাশি একটি সাইড লেটার চুক্তিরও প্রস্তাব দেন তিনি। এর আগে ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বার্ষিক ১.৮-২.৫ মিলিয়ন টন (MTPA) পরিমাণ এলএনজি সরবরাহের জন্য কাতারের সাথে ১৫ বছর মেয়াদী 'এলএনজি সেলস এন্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট (এসপিএ)' স্বাক্ষর হয়।
২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৭ কার্গোতে ৮.৪২৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি কিনেছে পেট্রোবাংলা। কিন্তু দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এখন আমদানি বাড়াতে চায় সরকার। কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সা'দ শেরিদা আল কাবির বাংলাদেশের প্রস্তাব আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেন এবং কাতার গ্যাস ও কাতার এনার্জিকে পেট্রোবাংলার সাথে বসে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার নির্দেশ দেন। ২ ফেব্রুয়ারী এ আলোচনা কাতারে অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত অন্যান্যদের মাঝে ছিলেন কাতার গ্যাসের সিইও শেখ খালিদ বিন খলিফা আল-থানি, কাতার এনার্জির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) জসিম আল_মারজুকি, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ চৌধুরী।