ভিসি পদে নিয়োগ পেয়েও যোগ দিতে চান না ড. ফারুক
সম্প্রতি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগে তদবির ও তোষামোদই বড় যোগ্যতা হয়ে উঠেছে। এমন সময়ে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েও নিতে চান না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক।
বিষয়টি নাড়া দিয়েছে সারা দেশের মানুষকে। অনেকেই এজন্য অধ্যাপক ফারুককে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। যদিও পুরো বিষয়টিকে পারিবারিক কারণ বলে দাবি করেছেন তিনি।
গত ২৩ মার্চ রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদে ড. আবদুল্লাহ আল ফারুককে উপাচার্য নিয়োগ দেয় সরকার। তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন নির্বাচনের একদিন আগে ২৯ মার্চ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নিতে অপারগতার কথা জানান তিনি।
অন্যদিকে উপাচার্য পদে নিয়োগ পাওয়ার পরও উপাচার্য হিসেবে যোগদান না করে ডিন পদে প্রার্থিতা বহালের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে ডিন নির্বাচনের আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন অপর ডিন প্রার্থী অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন। পরবর্তী ডিন নির্বাচনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে যান হলুদ দলের প্রার্থী অধ্যাপক জাকির হোসেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর দাবি, অধ্যাপক ফারুকের উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েও না নেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি রাজনৈতিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য শিরিন আখতারের বলয়কে শক্তিশালী করতেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি তাদের।
তবে ভিসি পদে নিয়োগ পেয়েও যোগদান না করার বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে কথা বলতে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের কাছে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক।
এদিকে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. কাঞ্চন চাকমা বলেন, 'নতুন উপাচার্য হিসাবে ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক স্যারকে নিয়োগ দেওয়ায় আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তিনি দায়িত্ব না নেওয়ার বিষয়টি শুনে আবার হতাশও হলাম। এখন সরকার বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আবার কাকে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিচ্ছে, তার অপেক্ষায় আমরা।'
রাবিপ্রবি উপাচার্য পদে ২০১৪ সালে প্রথম দফায় চার বছর মেয়াদে নিয়োগ পান প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আবারও দ্বিতীয় দফায় নিযোগ পেয়ে চার বছর মেয়াদ শেষে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেন তিনি। আইনগত সুযোগ না থাকায় তাকে তৃতীয় মেয়াদে উপাচার্য নিয়োগ দিতে পারেনি সরকার।