তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে এখনো
কলাবাগান থানা ভবন নির্মাণের জন্য গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেঁতুলতলা মাঠের পরিবর্তে অন্য কোনো স্থান বেছে নেওয়ার নির্দেশনা দিলেও আজও চলছে নির্মাণ কাজ।
আজও কলাবাগানের তেঁতুলতলা খেলার মাঠে থানা নির্মাণের জন্য পাইলিং ও নির্মাণ সামগ্রী আনা-নেওয়া করতে দেখা গেছে।
রোববার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর কলাবাগানের 'তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষা'র অন্যতম আন্দোলনকারী সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে, ১৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ ঈসা আবদুল্লাহকে আটক করে পুলিশ।
এ সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক আব্দুল্লাহকে প্রাপ্তবয়স্কদের হাজতে আটক রাখা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। মা ও ছেলেকে এভাবে আটক করায় এসব মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টে অনেককেই দেখা যায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাতে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের অধীন তেঁতুলতলা খেলার মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের খেলার মাঠ হিসেবে এবং জানাজার মতো অন্যান্য সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এরপর, ২০২০ সালে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে সেখানে থানার জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে কলাবাগান পুলিশ। বাসিন্দারা অবিলম্বে সেই পদক্ষেপের প্রতিবাদ করে, সাইনবোর্ড অপসারণ করে এবং আগের মতো জায়গাটি ব্যবহার করতে থাকে।
পরবর্তীতে, এ বছরের ৩১ জানুয়ারি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে জায়গাটি চিহ্নিত করে পুলিশ। কলাবাগান থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্যকেও নিয়মিত সেখানে পাহারা দিতে দেখা গেছে।
গত বছরের ২৪ আগস্ট ঢাকা জেলা প্রশাসনের জারি করা এক নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সেখানে ডিএমপি কলাবাগান থানা ভবন নির্মাণের জন্য খেলার মাঠটি সরকার অধিগ্রহণের প্রস্তাব করে। নোটিশে জমিটিকে পতিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে ১১ সেপ্টেম্বর নোটিশের প্রতিবাদে কলাবাগানের বাসিন্দা, পরিবেশবাদী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়নকর্মী এবং শিশু-কিশোররা আন্দোলন শুরু করে।
সৈয়দা রত্না ও এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে থানা ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।