সয়াবিন তেল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, সরিষা ও রাইস ব্র্যান বিকল্প খুঁজছে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
সরকার সয়াবিন তেলের বিকল্প উৎস খোঁজার ওপর জোর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সরিষা, ব্রান ও ক্যানোলা অয়েলকে সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশে সরিষা ও রাইস ব্রান উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে। তা ছাড়া সয়াবিনের চেয়ে রাইস ব্র্যান ভালো। সয়াবিন তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
বুধবার (১৮ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে এসব বলেন মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশে এই মুহূর্তে ভোজ্যতেলের কোন সংকট নেই।
তিনি বলেন, "মিলাররাও জানিয়েছেন, দেশে যে তেল আছে তা দিয়ে আমাদের প্রয়োজন মিটে যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো সেটি কতদিন? আমরা শুধু সয়াবিন তেলের ওপর এবং আমদানি নির্ভর থাকবো না। সয়াবিনের বিকল্প সরিষা ও রাইস ব্র্যান কিংবা ক্যানোলা তেল খাব।"
"আমাদেরকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে", যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে সরকার সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে দেশে সরিষা ও রাইস ব্র্যান উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সেই মতো পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করছে।
টিপু মুনশি বলেন, "বর্তমানে দেশের রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদন মাত্র ৫০ হাজার টন। আমরা হিসাব করে দেখেছি প্রতিবছর দেশে এই রাইস ব্রান অয়েল ৭ লাখ টন উৎপাদন করা সম্ভব। এটা যদি আমরা করতে পারি তাহলে আমাদের মোট ভোজ্যতেলের চাহিদার ২০ শতাংশ রাইস ব্র্যান থেকেই মিটে যাবে। একইভাবে আমরা সরিষা উৎপাদনেও জোর দিতে যাচ্ছি।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের সরিষা উৎপাদনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব যা থেকে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ পূরণ হবে। এছাড়া ক্যানোলা অয়েল আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।"
তবে সয়াবিনের বিকল্প এসব তেলের উপকারিতা সম্পর্কে তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সাংবাদিক সবাইকে জোরালোভাবে প্রচার চালাতে হবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইএম সফিকুজ্জামান সহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।