পদ্মা সেতু উদ্বোধন: বরিশালের বেশিরভাগ শহর, বাজার, স্কুল-কলেজ ফাঁকা
বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ রাজনৈতিক কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ ছুটে যান পদ্মা সেতুর উদ্বোধনস্থলে। ফলে বিভাগের অধিকাংশ শহর ও এলাকা মানবশূন্য হয়ে পড়ে।
যারা অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি, তারা প্রজেক্টর বা টিভি স্ক্রিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।
শহরের বেশিরভাগ মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে খুব কম সংখ্যক ক্রেতার দেখা মিলেছে। এমনকি, বেশকিছু দোকান-বাজারও সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বন্ধ পাওয়া গেছে।
শহরের ব্যস্ততম রাস্তাগুলো একেবারেই ফাঁকা। খুব কম সংখ্যক যানবাহন ও যাত্রীদের চলাচল করতে দেখা গেছে।
বরিশাল থেকে রাজৈর যাওয়ার পথে বরিশাল নগরী, ঝালকাঠি শহর, রাজাপুর উপজেলা শহরসহ অন্তত ১০টি গ্রামের বাজার ঘুরে দেখেন এই প্রতিবেদক। কোনো জায়গায়ই খুব বেশি সংখ্যক ক্রেতার দেখা মেলেনি। দোকানগুলোর সামনে শুধু কয়েকজন নারী ক্রেতা ও স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
বরিশালের বাংলাবাজারের মুদি দোকানের মালিক কামাল হোসেন জানান, "পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের কারণে আজ সকাল থেকেই আমরা অন্যদিনের মতো খদ্দের পাইনি। আমি নিজেও আমার দোকানের টেলিভিশনে উদ্বোধনের অনুষ্ঠান দেখেছি।"
"সকাল থেকে নিয়মিত চা বিক্রি শুরু করলেও আজ ক্রেতা আসছে না। সকাল ১০টা পর্যন্ত মাত্র ৫ কাপ চা বিক্রি করেছি। সাধারণত এ সময়ের মধ্যে আমি ৫০ থেকে ৭০ কাপ চা বিক্রি করি," জানালেন ঝালকাঠির রাজাপুরের চায়ের দোকানের মালিক আবুল হোসেন।
স্কুল-কলেজেও কম সংখ্যক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখা গেছে। বিভিন্ন কলেজে অল্প কয়েকজন শিক্ষককে পাওয়া যায়। তারা জানান, অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী পদ্মা সেতুতে গেছে। অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষকও কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সেখানে গেছেন বলে জানান যায়।
"আমরা কলেজে এসেছি অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে বসে বড় পর্দায় অনুষ্ঠান উপভোগ করবো বলে। আজ ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থী আসেনি। শিক্ষক হিসেবে তো আমরা আসতে বাধ্য," বলেন ঝালকাঠির রাজাপুর সরকারি কলেজের ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক শামসুল আলম বাবুল।
একই দৃশ্য দেখা গেছে বেশিরভাগ স্কুল-কলেজ ঘুরে। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদেরকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ইতিহাসের সাক্ষী করে তুলতে কর্মসূচিতে নিয়ে গেছেন বলে জানান কলেজের আরেক শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।
সব মিলিয়ে পুরো বিভাগকে আজ ছুটির দিনের মতোই দেখাচ্ছে।