'বেবিজ ডে আউট' এর হিন্দি রিমেকে দেখা যাবে সাইফ-তৈমুরকে?
১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউড ছবি 'বেবিজ ডে আউট' দারুণভাবে গ্রহণ করেছিল দর্শকেরা। সেই সময়ে বক্স অফিসে এই অ্যাডভেঞ্চার কমেডি মুখ থুবড়ে পড়লেও পরবর্তী সময়ে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। শিকাগো শহরের কুখ্যাত তিন ছেলেধরা একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছোট্ট শিশুকে পরিকল্পনামাফিক চুরি করে মোটা টাকা মুক্তিপণ আদায় করার ফিকিরে। তবে তাদের সেই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভেস্তে দেয় বছর কয়েকের শিশুটি। প্রতিপদে তিন গুন্ডাকে ধোঁকা দিয়ে তাদের হাতের নাগাল থেকে হাসতে হাসতে বেরিয়ে যায় সে। এরকম করে গোটা শিকাগো শহরে চক্কর দিয়ে তিন গুন্ডাকে নাস্তানাবুদ করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় সে।
এবার এই বিখ্যাত ছবির হিন্দি রিমেক করার প্রস্তাব পেলেন সাইফ আলি খান। প্রস্তাব না বলে একে অনুরোধ বলাটাই ভালো। সম্প্রতি, 'ফিট আপ উইথ দ্য স্টার' অনুষ্ঠানে এক অনুরাগীর অনুরোধ ভেসে আসে এই বলি-তারকার উদ্দেশ্যে। সেখানে এই ছবির হিন্দি রিমেকে সাইফকে অভিনয় করার পাশাপাশি তারকার চার বছরের 'খুদে তারকা' তৈমুরকেও ওই ছবিতে দেখার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন সেই ফ্যান।
এই অনুরোধ যে বেশ ভালো লেগেছে সাইফের তা বোঝা যায় তার জবাবেই।
"হ্যা, হতেই পারে। আপত্তি নেই। কিন্তু তৈমুরকে নিয়ে কাজ করাটা বিরাট বড় ঝঞ্ঝাটের। মানে আমার পক্ষে সেটা বিরাট 'টাস্ক' শেষ করার মতোই হবে আর কী। কারণ শুটিং শুরু হওয়ার কিচ্ছুক্ষণ পরেই হয়ত তৈমুর বলে বসল যে তার আর শুটিংয়ের মুড নেই। আসলে এমনিতেই ছোট্ট শিশুদের দিয়ে অভিনয় করানোটা মুশকিলের, তাদের সঙ্গে কাজ করাটাও কঠিন। তার ওপর সে যদি নিজের সন্তান হয়, তাহলে তো আর কোনও কথাই নেই!"
তবে নিজের বক্তব্যের শেষে সাইফ বলেন যে, তিনি নিশ্চিৎ যেভাবে তার পরিবারের সঙ্গে বলিউডের আত্মীয়তা তাতে তৈমুরও ভবিষ্যতে একজন অভিনেতাই হবে। যুক্তি হিসেবে সাইফ বলেন, তার মা শর্মিলা ঠাকুর ১৬ বছর বয়স থেকে অভিনয় শুরু করেন। তাও সত্যজিৎ রায়ের মতো বিশ্ববিখ্যাত পরিচালকের ছবিতে। এরপর তার বোন সোহা-ও অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। স্ত্রী কারিনা বলিপাড়ার একজন প্রথম সারির অভিনেত্রী। অন্যদিকে, সাইফের প্রথম পক্ষের স্ত্রী অমৃতা সিংও ছিলেন একজন ডাকসাইটে অভিনেত্রী। বর্তমানে বলি-অভিনেতার বড় মেয়ে সারাও এ প্রজন্মের জনপ্রিয় বলি-নায়িকা। ছেলে ইব্রাহিমও টিনসেল টাউনের দিকে এক পা বাড়িয়েই রেখেছেন।