ছেলেবেলার স্কুলে অরিজিৎ, আচমকা হাজির হয়েই ইংরেজির শিক্ষিকাকে প্রণাম
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে জন্ম অরিজিৎ সিং-এর। কিন্তু কর্মসূত্রে থাকতে হয় মুম্বাইয়ে। তবে জিয়াগঞ্জে ফিরলেই ফিরে যান সেই শৈশবে। সেখানকার পথেঘাটে শৈশবের ভাঙা সাইকেল নিয়ে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে তাকে প্রায়ই দেখা যায়।
এবারে বলিউডের গায়ক সেই অরিজিৎ সিং আচমকা হাজির হলেন তার ছোটবেলার স্কুল রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরে। স্কুলশিক্ষিকার পায়ের কাছে বসে শিশুসুলভ ভঙ্গিতে গল্প করেছেন জনপ্রিয় এই গায়ক। শিক্ষিকাও আশীর্বাদ করেছেন অরিজিৎকে।
সম্প্রতি ইন্টারনেটে গায়ক ও তার ইংরেজি শিক্ষিকা সুনীতা লাহিড়ির একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায় তিনি অত্যন্ত সাদাসিধে পোষাকেই স্কুলে গিয়েছেন। এই সময়ে তার পরনে ছিল ঢিলেঢালা টিশার্ট আর পায়জামা।
আসলে খ্যাতির শিখরে পৌঁছেও সুযোগ পেলেই শিকড়ের টানে বারে বারে গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন অরিজিৎ। সদ্য বিদেশে গানের কনসার্ট শেষ করে তার এবারের জিয়াগঞ্জ সফরও ছিল ঠিক তেমনই।
গ্রামে এসে পায়ে হাওয়াই চটি গলিয়েই অরিজিৎ সটান চলে গিয়েছিলেন নিজের স্কুলে। সেখানে শিক্ষকদের বসার ঘরে ঢুকে ইংরেজি শিক্ষিকা সুনীতা লাহিড়িকে দেখতে পান গায়ক। দেরি না করে ছুটে গিয়ে শিক্ষিকার পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন। পুরনো ছাত্রকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সুনীতাও। তিনি আলতো করে অরিজিতের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন। তারপর বেশ কিছুক্ষণ সুনীতার সঙ্গে বসে গল্প করেন অরিজিৎ।
সুনীতা ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, "গত বৃহস্পতিবার আমাদের স্কুলে এসেছিল অরিজিৎ। ক্লাস ফাইভ থেকে আমাদের স্কুলে পড়েছে ও। আজ অরিজিৎ বড় গায়ক। মানুষ হিসাবেও অত্যন্ত ভাল। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কত সহজে মিশে যায়! ভীষণই ডাউন টু দ্য আর্থ। স্কুলে এসে কথা বলল। ওর সঙ্গে কথা বলে খুবই ভাল লেগেছে। ছাত্র যতই বড় হোক, সে তো আমাদের কাছে ছাত্রই। আজ ও যে খ্যাতি অর্জন করেছে, তা সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতা আর গুণে। আমাদের সত্যিই গর্ব হয় ওর এই সাফল্যে।"
সম্প্রতি নিজের স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদের দায়িত্ব পেয়েছেন অরিজিৎ। তারপর এই প্রথম স্কুলে গেলেন তিনি।
স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, "অরিজিৎ সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর সেদিন প্রথম স্কুলে আসে। সকলে মিলে খুব ভালভাবে আলোচনা হয়েছে। স্কুলের কমিটি কীভাবে তৈরি হয় এবং কীভাবে কাজ করে, এসব জেনে গিয়েছে ও।"