ফিনল্যান্ডে প্রদর্শনীতে ভাস্কর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন ব্র্যাড পিট!
অভিনয় দিয়ে এতদিন বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শকের মন জয় করেছেন, এবার আত্মপ্রকাশ করলেন ভাস্কর হিসেবেও! ফিনল্যান্ডের সারা হিলডেন আর্ট মিউজিয়ামের একটি গ্রুপ শো'তে দেখা মিলেছে অন্য রকম ব্র্যাড পিটের! রূপালি পর্দার ক্যামেরা-লাইট-অ্যাকশন ছেড়ে পুরোদস্তুর ভাস্কররূপে হাজির হয়েছেন 'ফাইট ক্লাব' তারকা। ফিনল্যান্ডের 'উই' নামক এই প্রদর্শনীতে সঙ্গীতশিল্পী নিক কেইভ এবং শিল্পী থমাস হাউসিগোর শিল্পকর্মের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে ব্র্যাড পিটের তৈরি ভাস্কর্যগুলো।
প্রদর্শনীতে ব্র্যাড পিটের নয়টি ভাস্কর্যের মধ্যে রয়েছে ঘরের আকৃতির একটি কাঠামো যা স্বচ্ছ সিলিকনের ছাঁচে ফেলে গড়া হয়েছে এবং এটির গায়ে বুলেটের আঘাত রয়েছে। ২০১৭ সালে প্রথম এই ভাস্কর্যটিই নির্মাণ করেন হলিউড অভিনেতা। 'হাউজ এ গো গো' নামক ১৮ ইঞ্চি উচ্চতার এই মিনিয়েচার ঘরটি গাছের ছাল দিয়ে তৈরি।
অন্যদিকে, ব্র্যাড পিটের তৈরি করা সবচেয়ে বড় ভাস্কর্যটি হলো কফিন-আকৃতির একটি ব্রোঞ্জের বাক্স, যাতে দেখা যাচ্ছে হাত-পা-মুখের আকৃতি... যেগুলো কিনা বাক্স ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছে। 'এইমিং অ্যাট ইউ আই স মি বাট ইট ওয়াজ টু লেট দিস টাইম' শীর্ষক আরও একটি ভাস্কর্য রয়েছে যা ২০২০ সালে তৈরি। এখানে দেখা যাচ্ছে, দেয়ালে ঝুলানো একটি প্লাস্টার করা ভাস্কর্য, যেখানে আটজন প্রতিকৃতির মধ্যে লড়াইয়ে দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সাথে বিচ্ছেদের পর থেকেই সিরামিক আর্টের প্রতি আগ্রহী হন ব্র্যাড পিট। দ্য আর্ট নিউজপেপার'কে ইমেইল করে পাঠানো এক বিবৃতিতে 'বুলেট ট্রেন' তারকা নিজের এই শিল্পী সত্ত্বা সম্পর্কে বলেন, "আমার কাছে এটি আত্মপ্রতিফলনের মতো... নিজেকে আবিষ্কার করার তাগিদ থেকেই এই শিল্পের জন্ম হয়েছে। এর মাধ্যমে আমি নিজে নিজের কাছে সৎ থেকেছি এবং কোনোদিন যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি, তার দায় নিজের কাঁধে নিচ্ছি।"
এদিকে ফিনল্যান্ডে একই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্পী হিসেবে অভিষেক ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ান গীতিকার নিক কেইভেরও। তবে ভাস্কর হিসেবে আগে থেকেই এদের চেয়ে পরিচিত থমাস হাউসিগো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি বিভিন্ন চিত্রকর্ম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন। এবারের প্রদর্শনীতে সেগুলোই স্থান করে নিয়েছে।
একই মঞ্চে নিজের, নিক কেইভের এবং ব্র্যাড পিটের শিল্পকর্ম প্রদর্শন প্রসঙ্গে হাউসিগো বলেন, "আমি একা আমি নই, আমি হচ্ছি 'আমরা'!
সূত্র: সিএনএন