রাজকীয় পতৌদি প্যালেসের আনাচে-কানাচে ঘুরে দেখালেন সাইফ আলী খান!
পতৌদির নবাব পরিবারের ছেলে বলে সাইফ আলী খানকে নিয়ে বরাবরই অন্যরকম এক আগ্রহ কাজ করে ভক্তদের মধ্যে। ছোটে নবাব নিজেও কি এখনো নবাবি হালে চলেন কিনা, নবাবি রীতিগুলো মেনে চলেন কিনা, তাদের পরিবারের বিভিন্ন রেওয়াজ কেমন, আর নবাব বাড়ির অন্দরসজ্জাই বা কেমন- এক ভিডিওর মাধ্যমে ভক্তদের এই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন সাইফ আলী খান।
সাইফ-সোহার রয়েছে নিজেদের ক্লদিং লাইন 'হাউজ অব পতৌদি'। তারই বিজ্ঞাপনে নিজেদের প্যালেস ঘুরে দেখিয়েছেন ছোটে নবাব। পরিবারের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে চান সাইফ, আর সে কারণেই ঢেলে সাজিয়েছেন এই প্রাসাদকে। বেশ কিছু সিনেমার শ্যুটিংও হয়েছে এখানে।
মার্কেট রিপোর্ট বলছে পতৌদি প্যালেসের বাজারমূল্য বর্তমানে বাজার দাম ৮০০ কোটি রূপি! এখানে রয়েছে ১৫০টি ঘর। সুদৃশ্য কৃত্রিম ফোয়ারা থেকে শুরু করে সুইমিং পুল, কাঠের দামি দামি আসবাব- কী নেই এই মহলে!
সাদা মার্বেলে তৈরি প্রাসাদটির চারিদিকে ঘন সবুজের ছোঁযা, সামনেই ফোয়ারা। গাছ-গাছালিতে ঘেরা এক শান্তির নিবাস। সামনেই রয়েছে বড় একটি সুইমিং পুল, যা যেকোনো ফাইভ স্টার হোটেলের চাইতেও বেশি সাজানো-গোছানো।
বাড়ির অন্দরমহলে ঢোকার করিডর পুরনো সব ছবিতে সাজানো। পতৌদি পরিবারের শান-শওকত যেন চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে!দেয়ালের একাংশে রয়েছে মনসুর আলী খান পতৌদির ছবি, ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে। ছবিগুলোর দিকে বেশ গর্বভরেই তাকিয়ে থাকতে দেখা গেল সাইফকে।
ভিডিওতে একটি বসার ঘরও দেখিয়েছেন সাইফ। বড় বড় লেদার আর কাঠের সোফা দিয়ে সাজানো এই ঘরে বসে পারিবারিক অ্যালবামের পাতা উল্টাতে দেখা গেল অভিনেতাকে।
সাইফ আলী খানের এই পৈত্রিক নিবাসের স্টাডি রুমেও ভারি ভারি কাঠের আসবাব। টেবিল ল্যাম্পের সামনে কিছু একটা খুব মনযোগ দিয়ে দেখছিলে সাইফ, পেছনের আলমারি ভরা বই। এতদিনে একথা সবারই জানা যে পতৌদি পরিবারে পড়ালেখাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। অন্য অনেক বলিউড তারকাদের মতো কম বয়সেই পড়ালেখা থামিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ নেই পতৌদি পরিবারে।
সাইফ আলী খানের মেয়ে সারা আলী খান কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গ্র্যাজুয়েট। সাইফ নিজেও অবসরে বই পড়তে পছন্দ করেন।
সাইফ আলী খানকে শেষবার দেখা গিয়েছে 'ভূত পুলিশ' ছবিতে। আগামীতে তাকে দেখা যাবে ওম রাউতের 'আদিপুরুষ' ছবিতে।