কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী এলভিস প্রেসলির মেয়ে লিসা ম্যারি আর নেই
রক 'এন' রোল সম্রাট ও কিংবদন্তি গায়ক এলভিস প্রেসলির একমাত্র মেয়ে লিসা ম্যারি প্রেসলি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার অসুস্থ অবস্থায় তাকে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন তার মা প্রিসিলা প্রেসলি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
এক বিবৃতিতে প্রিসিলা প্রেসলি বলেন, "অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে জানাচ্ছি যে, আমার মেয়ে লিসা ম্যারি প্রেসলি চিরদিনের জন্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। ও ছিল আমার দেখা সবচেয়ে উৎসাহী, দৃঢ়চেতা ও স্নেহময় নারী। এই দুঃসময়ে আমরা সবাইকে আমাদের গোপনীয়তা বজায় রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।"
বিনোদন ওয়েবসাইট টিএমজেড এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ক্যালাবাসাসের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরতলীতে নিজের বাড়িতে অবস্থানকালে হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হন লিসা ম্যারি। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
লিসা ম্যারির জন্ম ১৯৬৮ সালে। তিনি মেম্ফিসে বাবা এলভিস প্রেসলির রেখে যাওয়া গ্রেসল্যান্ড ম্যানসনের মালিক ছিলেন। কিংবদন্তি গায়কের কারণেই এই ভবনটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ১৯৭৭ সালে এলভিস যখন মারা যান, তখন লিসার বয়স ছিল মাত্র নয় বছর।
লিসা ২০০৩ সালে তার সঙ্গীত ক্যারিয়ার শুরু করেন। তার প্রথম স্টুডিও অ্যালবামের নাম 'টু হুম ইট মে কনসার্ন'। এরপর ২০০৫ সালে 'নাও হোয়াট' নামে আরেকটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন তিনি। দুটি অ্যালবামই বিলবোর্ডের সেরা ২০০ অ্যালবামের তালিকায় শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছিল। ২০১২ সালে প্রকাশ পায় লিসার তৃতীয় অ্যালবাম 'স্টর্ম অ্যান্ড গ্রেস'।
ব্যক্তিগত জীবনে লিসা চারবার বিয়ে করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে নিজের প্রথম স্বামী, সঙ্গীতশিল্পী ড্যানি কেওর সাথে বিচ্ছেদের মাত্র ২০ দিনের মাথায় তিনি পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসনকে বিয়ে করেন।
এর দুই বছর পর ১৯৯৬ সালে মাইকেল জ্যাকসনের সাথে তার বিচ্ছেদ ঘটে। সেসময় মাইকেলের বিরুদ্ধে শিশুদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে একটি মামলা চলছিল।
এরপর ২০০২ সালে এলভিস প্রেসলির একজন বড় ভক্ত, নিকোলাস কেজকে বিয়ে করেন লিসা। চার মাস পরে তার কাছ থেকে বিচ্ছেদের আবেদন করেন তিনি। লিসা চতুর্থ বিয়েটি করেছিলেন তার গিটারিস্ট ও সঙ্গীত প্রযোজক মাইকেল লকউডকে। কিন্তু সে বিয়েও টেকেনি। ২০২১ সালে তাদের বিচ্ছেদ পাকাপাকি হয়।
লিসা ম্যারি প্রেসলি ছিলেন চার সন্তানের জননী। কিন্তু তার একমাত্র ছেলে বেঞ্জামিন কেও ২০২০ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে মারা যায়। অন্যদিকে, তার মেয়ে রিলে কেও (৩৩) বর্তমানে একজন অভিনেত্রী। তার অন্য দুই যমজ মেয়ের নাম হার্পার ও ফিনলে লকউড।