রোমান স্থাপত্যের ছোঁয়া সিদ্ধার্থ-কিয়ারার বিয়ের পোশাকে, সঙ্গে হীরা-পান্নার দ্যুতি!
রাজস্থানের জয়সলমেরের সূর্যগড় প্রাসাদে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে অবশেষে গাঁটছড়া বাঁধলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এবং কিয়ারা আদভানি। সদ্য বিবাহিত দম্পতি মঙ্গলবার রাতেই বিয়ের ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা 'আব হামারি পার্মানেন্ট বুকিং হো গ্যয়ি হ্যায়।'
বর-কনে দুজনের পোশাকই ডিজাইন করেছেন মণীশ মালহোত্রা। বলিউডের এই সেলেব্রিটি ফ্যাশন ডিজাইনারের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে শেয়ার করা হয়েছে বর আর কনের ডিজাইন করা পোশাকের খুঁটিনাটি। বিয়েতে গোলাপি রঙের লেহেঙ্গা পরেছিলেন কিয়ারা। আর সিদ্ধার্থের জন্য ছিল মেটালিক গোল্ড শেরওয়ানি।
'মনীশ মালহোত্রা বধূ' কিয়ারা আদভানি পরেছিলেন অমব্রে গোলাপি রঙের লেহেঙ্গা, যাতে খচিত ছিল রোমান স্থাপত্যের জটিল সূচিকর্ম, যা এ শহরের প্রতি নবদম্পতির বিশেষ ভালবাসা থেকে অনুপ্রাণিত। বসানো হয়েছে আসল সরোভস্কি ক্রিস্টালস। সঙ্গে কনে পরেছিলেন মণীশ মালহোত্রার ডিজাইন করা বেসপোক ডায়মন্ড জুয়েলারি। এক্সক্লুসিভ এই সেটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিরল পান্না।
বরের পোশাক সম্পর্কে মণীশ মালহোত্রার পেজে উল্লেখ করা হয়েছে 'আমাদের সুদর্শন 'মনীশ মালহোত্রা বর' সিদ্ধার্থ মালহোত্রা পরেছিলেন মেটালিক গোল্ড শেরওয়ানি। যাতে রয়েছে আমাদের ক্লাসিক সিগনেচার ওয়ার্ক, আইভরি থ্রেডওয়ার্ক, গোল্ড জারদৌসি। বরের সাজে ব্যবহার করা হয়েছে মণীশ মালহোত্রা পলকি গয়না, রাজকীয় লুক দিতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে আনকাট হীরা।'
২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হিট ছবি 'শেরশাহ'-এর সেট থেকেই প্রেমটা শুরু হয়েছিল সিদ্ধার্থ মালহোত্রা আর কিয়ারা আদভানির। দুই বছরের প্রেমের পর অবশেষে পরিণতি পেল এই সম্পর্ক। মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি হিন্দু রীতি মেনে ব্যান্ড বাজা বারাতের সঙ্গে হল বিয়ে। ভক্তরা এই দুজনকে বিয়ের শুভেচ্ছা তো জানিয়েছেই, সেই সঙ্গে শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে বলিউডের অন্দর থেকেও। অতিথি তালিকায় দুই পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও ছিলেন ইশা আম্বানি, করণ জোহর, মীরা রাজপুত ও শহিদ কাপুর, জুহি চাওলারা।
এই রাজকীয় বিয়েতে ১০ দেশের ১০০-র বেশি পদ ছিল অতিথিদের জন্য। মেনুতে ছিল ইতালিয়ান, চাইনিজ, আমেরিকান, সাউথ ইন্ডিয়ান, মেক্সিকান, রাজস্থানী, পাঞ্জাবি এবং গুজরাটি খাবার। মিষ্টির মধ্যে ছিল জয়সলমেরের বিখ্যাত ঘোটওয়ান লাড্ডু। পাঞ্জাবি ছেলে সিদ্ধার্থ, পাঞ্জাব এবং দিল্লি থেকে আসা বরপক্ষের জন্য মশলাদার ও চটকদার খাবারেরও ব্যবস্থা ছিল। বিয়ের পর সূর্যগড় দুর্গে মঙ্গলবারই বসেছে রিসেপশনের আসর। জানা যাচ্ছে, মুম্বাইয়ের পাশাপাশি দিল্লিতেও বৌভাতের আয়োজন করবেন সিদ্ধার্থ।